‘হিজবুল্লাহকে চড়া মূল্য দিতে হবে’

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৪, ১১:৫৪ এএম

ঢাকা : বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত শনিবার (২৭ জুলাই) গোলান মালভূমির একটি ফুটবল মাঠে রকেট হামলায় ১০ থেকে ২০ বছর বয়সি অন্তত ১২ জন কিশোর-তরুণ নিহত হয়। এছাড়া হামলায় ১৯ জন আহত হন। এ হামলার জন্য ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে। তবে হিজবুল্লাহ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এদিকে এই ঘটনায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

হামলার পর নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হামলার জবাব দিতে বিলম্ব করবে না ইসরাইল। এর জন্য হিজবুল্লাহকে চড়া মূল্য দিতে হবে। ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ অভিযোগ করেছেন, হিজবুল্লাহ আজ শিশুদের নৃশংসভাবে আক্রমণ ও হত্যা করেছে, তাদের একমাত্র অপরাধ ছিল ফুটবল খেলা।

[228214]

গেল ৭ অক্টোবরের পর ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকের ওপর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর মধ্যে এটি ছিল অন্যতম। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়াল হাগারি বলেছেন, হিজবুল্লাহকে জবাব দিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী প্রস্তুত, আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব।

এ হামলার জন্য আইডিএফ হিজবুল্লাহকে দায়ী করলেও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির মুখপাত্র মোহাম্মাদ আফিফ মাজদাল শামস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘সব অভিযোগ মিথ্যা।’

হিজবুল্লাহ যদিও এর আগে গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হেরমন ব্রিগেডের সামরিক সদর দফতরে হামলাসহ চারটি হামলার দায় স্বীকার করেছে। যে ফুটবল মাঠে হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে মাত্র দুই মাইল দূরে হেরমন ব্রিগেডের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এবারের মাজদাল শামসকে লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়ে অভিযোগকে তারা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে বলে জানায় গোষ্ঠীটি।

এক বিবৃতিতে লেবাননের সরকার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে, সব পক্ষকে শত্রুতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। এর প্রতিবাদে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় হামলা চালায়, পাল্টা হামলা চালায় তেল আবিবও। এর পর থেকে দুপক্ষের হামলা পাল্টা হামলা চলছে। নতুন করে গোলান মালভূমির হামলার ঘটনা নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেবে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।

এমটিআই