হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যা

রাতভর কলকাতার রাজপথ দখল করে নারীদের বিক্ষোভ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ০১:০৭ পিএম

ঢাকা : পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তোলপাড় সাড়াদেশ। তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশের ডাক্তারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিবাদ তুঙ্গে উঠেছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার রাতের বেলায় কলকাতার রাজপথে নেমে এসেছিলেন হাজারও নারী। ‘রাত দখল করো’— কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দিবাগত রাতে কলকাতার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন নারীরা। খবর আনন্দবাজার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে নারী নেত্রী রিমঝিম সিনহা এই কর্মসূচির ডাক দেন। প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার জন্য সকল নারীকে আহ্বান জানান তিনি। তবে তার আহ্বানে নারীদের পাশাপাশি সাড়া দেন অনেক পুরুষও।

[229751]

আনন্দবাজার জানায়, শুরুতে ‘মেয়েরা রাত দখল করো’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল শহরের তিন জায়গা, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড এবং কলেজ স্কোয়ারে। তবে সেই ডাকে সাড়া দেয় গোটা পশ্চিমবঙ্গের নারীরা। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, কৃষ্ণনগর থেকে মেদিনীপুর— রাজপথ দখল করে নেয় নারীরা। নারীদের পাশাপাশি অবস্থান নিয়েছিলেন অনেক পুরুষরাও।

কর্মসূচীর আয়োজক নারী নেত্রী রিমঝিম বলেন, ‘এই বিপুল সাড়া প্রমাণ করে যে, আমাদের সকলের মধ্যেই ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভ থেকেই আমরা জড়ো হয়েছি। বিচার তো আমরা অবশ্যই চাইব। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। মূলে গিয়ে শোষণের প্রত্যেকটা কারণকে তুলে ধরা দরকার।‘

তবে নারীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীন কলকাতার আরজি কর হাসপাতালেই হামলার ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর চালায় জরুরি বিভাগে। কিছু বহিরাগতরা সেখানে হামলা চালিয়েছে বলে ওই মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।

[229753]

গত শুক্রবার ভোরে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চারতলায় ডিউটি শেষ করে বিশ্রাম নেওয়া এক ছাত্রীর মরদেহ পাওয়া নিয়ে। অভিযোগ, ওই নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

এ নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে আরজি কর হাসপাতালসহ পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। বুধবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিবাদী মিছিলে প্রকম্পিত ছিল কলকাতা। সবার একটাই দাবি, দোষীদের শাস্তি দাও, আসল ষড়যন্ত্রকারীদেরও প্রকাশ্যে আনো।

এমটিআই