ঢাকা : বিশ্বব্যাপী এমপক্সের প্রাদুর্ভাব করোনা মহামারীর মত হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিওএইচও। কারণ এমপক্স নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও ইতিমধ্যে এটি নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় পরিচালক হ্যানস ক্লুগ এ তথ্য জানান। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে এমপক্স নিয়ে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও ভাইরাসটির ক্লেইড ১বি ধরন নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
[230208]
তিনি বলেন, ‘আমরা এমপক্স সম্পর্কে অনেক কিছু জানি। আমরা জানি, আমরা একসঙ্গে মিলে এমপক্স নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।‘
এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ২০২২ সালের জুলাইয়ে জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পরে ২০২৩ সালের মে মাসে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। তখন তুলনামূলক কম সংক্রামক ক্লেড ২বি ধরন ছড়িয়েছিল। এই ধরনটি প্রধানত সমকামী ও উভকামী মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। হ্যানস ক্লুগ বলেন, এমপক্স নতুন কোনো করোনা হবে না।
মূলত ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) পর মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতেও ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসজনিত এ সংক্রমণ। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কঙ্গোতে ৫৭০ এর বেশি প্রাণহানি হয়েছে।
এমপক্সের দু’টি ধরন আছে, ক্লেইড ১ ও ক্লেইড ২। এর আগে ২০২২ সালে ক্লেইড ২ এর তুলনামূলক মৃদু সংক্রমণ চলাকালে জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার অনেক বেশি প্রাণঘাতী ক্লেইড ১ এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে।
[230203]
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস প্রথম পশু থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়ার পর এখন মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াচ্ছে। এমপক্স ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ যেমন, যৌন সম্পর্ক, গায়ে গা লাগা ও অন্য জনের খুব কাছে গিয়ে কথা বলা বা নিঃশ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে ছড়ায়।
এই রোগের সংক্রমণে জ্বরের মতো লক্ষণ দেখা দেয়, চামড়ায় ক্ষত তৈরি হয় আর এটি প্রাণঘাতী হতে পারে; এই রোগে আক্রান্ত প্রতি ১০০ জনের মধ্যে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়।
এমটিআই