ঢাকা: ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াগি’র কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৭ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এ ছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরও ১২৮ জন। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আড়াই লাখ হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল ধ্বংস হয়েছে। খবর এএফপির।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ‘ইয়াগি’ ছিল গত ৩০ বছরের মধ্যে ভিয়েতনামে বয়ে যাওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। গত শনিবার ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার গতি নিয়ে আঘাত করা এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন সেতু ভেঙে পড়ে, ভবনের ছাদ উড়ে যায় এবং ধ্বংস হয়ে যায় বহু কলকারখানা।
[231792]
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনাম সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে এ পর্যন্ত ১৯৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া আকস্মিক বন্যায় অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ঘটে ভূমিধসের ঘটনা। হাজার হাজার লোক এসব কারণে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। যারা এখনও বন্যাদুর্গত এলাকায় রয়েছেন, তারা হয়ে পড়েছেন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।
দেশটির রাজধানী হ্যানয়ের উপকণ্ঠের এলাকাগুলোতে প্রায় ১৫ হাজার লোক বন্যার্ত হয়ে পড়েছেন। কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মারাত্মকভাবে। প্রায় ১৫ লাখ হাঁস-মুরগি মারা গেছে। পাশাপাশি আড়াই হাজার শূকর, মহিষ ও গরু মারা গেছে। ভিয়েতনামের সরকারি সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এসআই