ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম টিভি বিতর্ক। পুরো বিতর্ক জুরেই একে অপরকে নানা ইস্যুতে তর্ক-বিতর্ক, পাল্টাপাল্টি আক্রমণ ও বাক্যবাণে জর্জরিত করেছেন দুই পক্ষ।
বিতর্ক জুরে ট্রাম্প এবং কমলা কেউ কাউকে ছাড় দেননি। সামনা সামনি হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সমানে অভিযোগ তুলে ধরেন।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বিতর্কের মঞ্চে ঝলসে উঠেছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস। মার্কিন অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু, আন্তর্জাতিক ইস্যু সব কিছুতেই কমলাকে এগিয়ে রেখেছেন মার্কিন নাগরিকরা। বিতর্কের মঞ্চে তার জ্বলে ওঠাকে ইতিবাচক দেখছেন অনেক নাগরিক। আবার কমলার বিতর্ক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে অনেক সিদ্ধান্তহীন নাগরিককে। খবর বিবিসি এবং রয়টার্স।
[231809]
বিতর্কের পর বেশি কিছু মার্কিন ভোটারের সাথে কথা বলেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। তারা জানিয়েছে বিতর্কে কমলার পারদর্শিতায় মুগ্ধ তারা। বিতর্কের পর কমলার দিকে তাদের সমর্থন বেড়েছে।
তবে নির্বাচনে কাকে ভোট দিবেন তা এখন ঠিক করেন উঠেননি অনেক ভোটারই। অনেকে আবার কমলাকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন। কারণ, ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া নিয়ে শঙ্কিত অনেকে।
তবে নির্বাচনে বিতর্কের প্রভাব কতটুকু তা এখনই বুঝা না গেলেও এটা বুঝা যাচ্ছে যে বিতর্কের পর বেশিরভাগ মার্কিন ভোটারের কাছাকাছি আসতে পেড়েছেন কমলা।
পুরো বিতর্কে গর্ভপাত, অর্থনীতি, অভিবাসন, গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ, ব্যক্রিগত আক্রমণ, সব মিলিয়ে তীব্র বিতণ্ডায় জড়ান দুই পক্ষ। তবে ট্রাম্প এ সময় নিজে রক্ষণাত্মক অবস্থান নিতে বাধ্য হন। বেশিরভাগ সময়ই কমলার পাতা ফাঁদে ঝাঁপিয়ে পড়েন ট্রাম্প।
বিবিসি বলছে, বিতর্কের বেশিরভাগ সময় ট্রাম্পের দিকে সরাসরি তাকিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হ্যারিস। কখনও হাসি কিংবা কখনও মাথা নাড়িয়ে মতের অমিল প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়া বা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় হ্যারিসের সাথে চোখাচোখি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে গেছেন।
বিতর্কের পরপরই ফক্স নিউজ কমলাকে বিজয়ী ঘোষণা করে। ফক্স নিউজের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রিট হিউম বলেন, ‘বিতর্ক শুনে মনে হয়েছে, কমলা খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন। সেভাবেই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি কী বলছেন, তা নিয়ে সচেতন ছিলেন।’
[231798]
ট্রাম্পের নিজের বক্তব্য ও ব্যগ্রতা এবং হ্যারিসের ধীরস্থির ও সুচিন্তিত মন্তব্য এই বিতর্কের গতিপথ নির্ধারণ করেছে। ট্রাম্পের প্রতিটি দাবিকেই হ্যারিস সুকৌশলে তার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করে গেছেন।
প্রথম বিতর্ক শেষ হতেই ৫ নভেম্বরের আগে আরেকটা ‘প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট’ আয়োজনের আহ্বান করেছে ডেমোক্র্যাট পার্টি। এ থেকেই বোঝা যায়, মঙ্গলবারের বিতর্কে হ্যারিসের সাফল্য নিয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টি কতটা আত্মবিশ্বাসী।
এমটিআই