ঢাকা : তাইওয়ানের চারপাশে বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়ার পর এবার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জোরদার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত সপ্তাহে তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে সিনহুয়ার বরাতে পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও এএফপি।
সিনহুয়া জানায়, গত বৃহস্পতিবার পিপলস লিবারেশন আর্মি রকেট ফোর্সের একটি ব্রিগেড পরিদর্শন করার সময় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই নির্দেশনা দেন। এ সময় তিনি সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা মেনে চলা, মিশনের দায়িত্ব জোরদার করার ওপর জোর দনে।
[234923]
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, সামরিক বাহিনীকে “বিস্তৃতভাবে প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি জোরদার করা উচিত (এবং) নিশ্চিত করা উচিত যে, সৈন্যদের দৃঢ় যুদ্ধের সক্ষমতা রয়েছে”।
তিনি আরও বলেছেন, সৈন্যদের অবশ্যই “তাদের কৌশলগত প্রতিবন্ধকতা এবং যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।”
চীন তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে দাবি করে থাকে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বশাসিত এই দ্বীপের চারপাশে বেইজিং তার শক্তি প্রদর্শন ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। এছাড়া চীনের কমিউনিস্ট নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, তারা তাইওয়ানকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগ করতেও দ্বিধা করবেন না।
[234898]
১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। এরপর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
এমটিআই