ঢাকা: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নাৎসি নন, বরং তিনি এর বিপরীত। মূলত গত রোববার ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত তার নির্বাচনী সমাবেশকে ১৯৩৯ সালের একটি নাৎসিপন্থি সমাবেশের সঙ্গে তুলনা করার প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন রিপাবলিকান নেতা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) জর্জিয়ার সমাবেশে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, তার সমর্থকদের নাৎসি বলে অভিহিত করছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। যদিও হ্যারিস বাস্তবে এমন কোনো বক্তব্য দেননি। ট্রাম্প বলেন, কমলা হ্যারিসের নতুন লাইন হলো, যে তাকে ভোট দেবে না, সে নাৎসি।
গত সপ্তাহে হ্যারিস দ্য আটলান্টিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ট্রাম্প একজন ফ্যাসিস্ট।
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ক্ষমতায় থাকার সময় ট্রাম্প অ্যাডলফ হিটলারের প্রতি নাৎসি জেনারেলদের আনুগত্যের প্রশংসা করেছিলেন। প্রতিবেদনটিকে সমর্থন করেন সাবেক মেরিন জেনারেল জন কেলি, যিনি ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ ছিলেন। কেলি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ট্রাম্পের আচরণ নাৎসিদের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে।
এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কমলা হ্যারিস বলেন, তিনি মনে করেন, ট্রাম্প একজন ফ্যাসিস্ট এবং যারা তাকে ভালো জানেন, তাদের এই বিষয়ে বিশ্বাস করা উচিত।
সাম্প্রতিক দিনগুলিতে ডেমোক্র্যাটদের প্রচারণায়ও আটলান্টিকের প্রতিবেদন এবং কেলির মন্তব্য ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে জর্জিয়ার সমাবেশে ট্রাম্প ওইসব মন্তব্যেরই প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, আমার বাবা আমাকে কখনো ‘নাৎসি’ বা ‘হিটলার’ শব্দ ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি সবসময় বলতেন, ‘কখনো নাৎসি বলো না। কখনো ওই শব্দটি ব্যবহার করো না।’
ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা সেই শব্দগুলো ব্যবহার করে— সত্যি, এই দুটোই। প্রথমে ‘হিটলার’, পরে ‘নাৎসি’। আমি নাৎসি নই। আমি নাৎসির বিপরীত।
এসময় হ্যারিসের ‘ফ্যাসিস্ট’ মন্তব্যেরও জবাব দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিদ্বন্দ্বীকে আক্রমণ করে রিপাবলিকান নেতা বলেন, তিনি ফ্যাসিস্ট, ঠিক আছে? তিনি একজন ফ্যাসিস্ট।
পরবর্তীতে ট্রাম্পের করা এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন কমলা হ্যারিসও। তিনি বলেছেন, এটি নতুন কিছু নয়। ট্রাম্প বরাবরই এমন উসকানিমূলক ভাষা ব্যবহার করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহখানেক পরেই (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক বিতর্ক উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
আইএ