ঢাকা: এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধমূলক হামলার’ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
গাজা ও লেবাননে সংঘাতসহ নানা ইস্যুতে ইসরায়েলের ওপর চরম ক্ষুব্ধ ইরান। দুই পক্ষের মধ্যে এরই মধ্যে ঘটে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ইরানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। তাদের বরাত দিয়ে আরেক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে হামলা চালাবে না ইরান। তবে অন্য কিছু গণমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, মার্কিন নির্বাচনের আগেই ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান।
তেহরানের যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানার পর সর্বোচ্চ নেতা খামেনি গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) তার সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে পরিকল্পনার (হামলার) নির্দেশ দিয়েছেন।
[236018]
ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা ইসরায়েলি সামরিক লক্ষ্যবস্তুর সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলার বিশদ বিবরণ ও ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার পরে আয়াতুল্লাহ তার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি তার জেনারেলদের বলেছেন, ইহুদিবাদীদের হামলায় আমরা প্রতিক্রিয়াহীন থাকতে পারি না। আমাদের প্রতিক্রিয়ার অভাব মানে ইসরায়েলের কাছে পরাজয় স্বীকার করা।
ইরানের মিডিয়া অনুযায়ী, দেশটির বিপ্লবী গার্ড কর্পসের ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল আলি ফাদাভি বলেছেন, ইহুদিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত। ৪০ বছরে আমরা কখনোই কোনো আগ্রাসনকে উত্তরহীন রাখিনি। আমরা একটি অভিযানের মাধ্যমেই ইহুদিবাদীদের যা যা আছে, তা সব ধ্বংস করতে সক্ষম।
এর আগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) একটি উচ্চপদস্থ সূত্রকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ইরানের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আক্রমণের একটি ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ঘটতে পারে।
এআর