ঢাকা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটগ্রহণে আর মাত্র একদিন বাকি। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় কমলা-ট্রাম্পের পরস্পরিরোধী আক্রমণে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। এরই মধ্যে প্রায় সাত কোটির বেশি আগাম ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে উত্তর ক্যারোলিনায় তার চূড়ান্ত নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে প্রায় ৯০ মিনিট ধরে ভাষণ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
[236173]
সেখানে সমর্থকদের উদ্দেশে রিপাবলিকান প্রার্থী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন অধিকৃত দেশ কিন্তু শিগগিরই তা আর থাকবে না। ৫ নভেম্বরে নির্বাচন হবে আমেরিকার মুক্তির দিন। আমেরিকা মুক্তি পেতে যাচ্ছে।’
এছাড়া সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমি কঠোর পরিশ্রম করছি কারণ আমাদের জিততে হবে।’
এদিকে পরাজিত হলে এবারও ঝামেলা করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছে তার প্রতিপক্ষ শিবির। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এখনো মেনে নেননি ট্রাম্প। পাশাপাশি ট্রাম্প সমর্থকদের একটি বড় অংশ এখনো বিশ্বাস করে, সেই নির্বাচনের ফল চুরি করে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, একইরকম ‘চুরি’ যেন এবার না হতে পারে, তা নিয়ে বদ্ধপরিকর রিপাবলিকান শিবির। ‘চুরি’ হলে, অর্থাৎ ট্রাম্প নির্বাচনে হারলে কীভাবে ফলাফল পাল্টাতে হবে, সেই পরিকল্পনাও করে রেখেছে ট্রাম্পের ‘চুরি থামাও’ আন্দোলন।
এমন আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে কমলা হ্যারিস এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে ভোটারদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বাতিল করে দিতে পারেন।
এমটিআই