কানাডায় বিক্ষোভ

গুরুদুয়ারা মন্দিরে ভারতীয় দূতাবাসের কার্যক্রম ‘ভণ্ডামি’

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম

ঢাকা: কানাডার দক্ষিণ ভ্যানকুভারের খালসা দেওয়ান সোসাইটি গুরুদুয়ারা মন্দিরের সামনের সড়কে শনিবার একদল বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন। তারা মন্দিরে ভারতীয় কনস্যুলেট কর্মকর্তাদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।

সেখানে গুরুদুয়ারা মন্দিরে ভারতীয় কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে একটি ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবীণদের জন্য একটি সুযোগ করে দেওয়া, যাতে তারা শহরে থাকা দূতাবাসে না গিয়েও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন এবং প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। দ্বিতীয় ক্যাম্পটি ১৬ নভেম্বর হওয়ার কথা রয়েছে।

কানাডার কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ভারত সরকার সেখানে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও ভীতিপ্রদর্শনের অভিযান চালাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে মন্দিরের সামনে এ বিক্ষোভ হলো।

দুই ডজন বিক্ষোভকারী মন্দিরের সামনে বিক্ষোভ করেন। তাদের একজন অজয়পাল সিং। তিনি সিটিভি নিউজকে বলেন, এখানে যারা জড়ো হয়েছেন, তারা মনে করেন, ভারতীয় কর্মকর্তাদের শিখ মন্দিরের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া ঠিক নয়।

তিনি বলেন, আমরা চাই, দূতাবাসগুলো বন্ধ হোক এবং ভারতীয় কনস্যুলেট যেন শিখ গুরুদুয়ারায় কোনো কাজে জড়িত না হয়।  

কানাডা সরকারের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারতীয় কূটনীতিকেরা এখানে ভারতীয় নাগরিক ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করছেন। এরপর সেই তথ্য নয়াদিল্লিতে ভারত সরকারের কাছে পাঠাচ্ছেন। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কানাডায় হত্যা, হত্যার ষড়যন্ত্র, জবরদস্তি ও অন্যান্য সহিংস অপরাধের সঙ্গে জড়িত একটি অপরাধী নেটওয়ার্কের সঙ্গে তারা কাজ করছে।

এসব অভিযোগের জেরে কানাডা গত মাসে ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেন। সিং বলেন, যিনি বহিষ্কৃত হয়েছেন, তিনি ভারতে বলছেন, ‘শিখদের জন্য আমাদের জীবননাশের হুমকি রয়েছে।’ আবার তারা আমাদের গুরুদুয়ারায় আসছেন দূতাবাস ব্যবসা চালাতে। আমি বলছি, এটি ভণ্ডামির চূড়ান্ত রূপ।

২০২৩ সালের জুনে এক গুরুদুয়ারার বাইরে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার পর থেকে কানাডা ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।

আইএ