পাকিস্তানে গাড়ি বহরে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৪১

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৪, ১১:১৩ এএম

ঢাকা: পাকিস্তানের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাত্রীদের এক গাড়ি বহরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪১ জনের প্রাণ গেছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।

খবর বিবিসির।

ওই অঞ্চলের উপ-পুলিশ কমিশনারের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, আফগানিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা পাকিস্তানের উপজাতীয় জেলা কুররমের মধ্য দিয়ে যানবাহনগুলো যাওয়ার সময় হামলার এ ঘটনা ঘটে।

প্রাদেশিক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, বন্দুকধারীরা প্রথমে বহরটির পুলিশ এসকর্ট লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

ওই এলাকায় চলতি বছর কয়েক মাস ধরে চলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বহু প্রাণহানি ঘটেছে। আর এ কারণেই পুলিশ ওই বহরটিকে নিরাপত্তা দিচ্ছিল।

পুলিশ বিবিসিকে বলেছে, বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৬ জন।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যসচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, হামলাটি বড় ধরনের ট্রাজেডি। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ওই গাড়ি বহরের মাঝামাঝি থাকা সাঈদা বানু নামে এক নারী বিবিসি উর্দুকে বলেন, কীভাবে হামলার সময় তিনি সন্তানদের নিয়ে গাড়ির সিটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন। তিনি আতঙ্কিত ছিলেন এই নিয়ে, তাকে হয়তো হত্যা করা হবে।

[237848]

গোলাগুলি বন্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি দেখতে পান আহত-নিহতরা সড়কে পড়ে রয়েছে। ঘটনার সঠিক বিবরণ এখনো পুরোপুরি জানা না গেলেও জাভেদ উল্লাহ মেহসুদ নামে শীর্ষ এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, আনুমানিক ১০ হামলাকারী ঘটনায় জড়িত ছিল। তারা সড়কের দুই পাশ থেকে নির্বিচারে গুলি করছিল।

তিনি আরও জানান, নারী ও শিশুরা হামলার সময় আশপাশের ঘরে লুকিয়ে পড়েন, আর পুলিশ হামলাকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালায়।

তিনি আগের এক বিবৃতিতে জানান, পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে যাওয়া ওই বহরের অধিকাংশ যাত্রী ছিলেন শিয়া সম্প্রদায়ের।

চলতি বছর সুন্নি ও শিয়া মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর বারবার সংঘাতে জড়িয়েছে। রয়টার্স সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আগের একাধিক হামলার ঘটনা শেষ হয়েছিল উপজাতীয় একটি পরিষদের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পর। গত মাসে ওই অঞ্চলে যাত্রীবাহী যানে আরেক হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন।

বৃহস্পতিবার যে সড়ক ধরে গাড়ি বহরটি যাচ্ছিল, সেটি সম্প্রতি খুলে দেওয়া হয়। ভ্রমণও সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। আর যানবাহনের বহরের সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ওই এলাকায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের যোগসূত্র প্রায়শই দেখা যায়।

এআর