ঢাকা : ঘুষকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা ও সমন জারির পরও এ বিষয়ে এতদিন কোনো মন্তব্য করেননি মূল ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি। আদানি ইস্যুতে ভারতের রাজনীতি উতপ্ত হওয়ার পরও মুখে কুলুপ এটে বসেছিলেন তিনি।
তবে অবশেষে প্রথমবারের মত এ বিষয়ে কথা বলেছেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভারতের রাজস্থানে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেন আদানি। মার্কিন আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর প্রথম জনসম্মুক্ষে আসেন এই ধনকুবের। এবার নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
[238581]
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গৌতম আদানি বলেন, ‘আদানি গ্রিন এনার্জি কোম্পানির ব্যবসায়িক আইনকানুন প্রতিপালন নিয়ে দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমরা অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছি। এবারই প্রথম এ ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে আমরা পড়িনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি, প্রত্যেকটি আঘাত আমাদের আরও শক্তিশালী করবে এবং প্রতিটি বাধা হবে আরও দৃঢ়তার সঙ্গে আদানি গ্রুপের সামনে এগিয়ে যাওয়ার একেকটি ধাপ।’
তিনি বলেন, ‘স্বার্থান্বেষী অনেক প্রতিবেদন সত্ত্বেও, আদানি গ্রুপের কেউই ফরেন করাপ্ট প্র্যাক্টিসেস অ্যাক্ট এর কোনো লঙ্ঘন বা ন্যায়বিচার বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রের জন্য অভিযুক্ত হয়নি। এখনকার দুনিয়ায় প্রকৃত সত্যের চেয়ে নেতিবাচক খবর দ্রুত ছড়ায়। আমরা আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে যাওয়ার কাজ করছি। আমি আবারও ব্যবসার আইনকানুন প্রতিপালনের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মান বজায় রাখার বিষয়ে আমাদের অকুণ্ঠ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।’
[238580]
গত ২০ নভেম্বর সাড়ে ২৬ কোটি ডলারের ঘুষকাণ্ডের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল কৌঁসুলিরা গৌতম আদানি ও তাঁর কয়েকজন সহযোগীকে অভিযুক্ত করেন।
মার্কিন আদালতের অভিযোগ, গৌতম আদানি, তাঁর স্বজন ও আদানি গ্রিনের নির্বাহী পরিচালক সাগর আদানি এবং আদানি গ্রিনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ভিনেত এস জেইন ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি নিশ্চিত করতে ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনায় অংশ নেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে তহবিল সংগ্রহের সময় মার্কিন বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করেন।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ। অভিযোগগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ মন্তব্য করে সব ধরনের আইনি আশ্রয় নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীটি।
এদিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষের এই অভিযোগের পর বড় ধরণের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে ভারতীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটি। ইতিমধ্যে শেয়ারবাজারে তাদের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার কারণে তারা ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার হারিয়েছে।
এমটিআই