ঢাকা: সিরিয়ায় দুই যুগ ধরে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রেখেছিলেন বাশার আল-আসাদ। এর মধ্যে প্রায় শেষ এক দশক গৃহযুদ্ধের মধ্যেও তাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে রাশিয়া।
সিরিয়ার আসাদের সরকারের পতনে রাশিয়ার পরাজয় হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বর্তমানে সিরিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন আসাদ ও তার পরিবার। তবে এখনো পুতিনের সঙ্গে আসাদের দেখা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্ব) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
[240072]
‘রেজাল্টস অব দ্য ইয়ার উইথ ভ্লাদিমির পুতিন’ নামের এ অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রধান রাষ্ট্রীয় চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
সিরিয়ার বাশার আল-আসাদের সরকারের পতন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুতিন বলেন, এটা ক্রেমলিনের জন্য কোনো পরাজয় নয়। রাশিয়া বাশারের সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট সিরিয়ায় রাশিয়ার পরাজয়ের কথা স্বীকার না করলেও সেখানকার পরিস্থিতি জটিল বলে মেনে নিয়েছেন।
পুতিন বলেন, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতার সঙ্গে তিনি এখনো কথা বলেননি। বাশার বিদ্রোহীদের দামেস্ক অভিযানের মুখে সিরিয়া থেকে পালিয়ে বর্তমানে মস্কোয় আশ্রয় নিয়েছেন। পুতিন বলেন, তিনি শিগগিরই বাশারের সঙ্গে কথা বলবেন।
[240027]
পুতিন আরও বলেন, তিনি সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে সেখানে দুটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি রাখার বিষয়ে আলোচনা করছেন। মস্কোর ওই দুই ঘাঁটি মানবিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করবে বলেও জানান তিনি।
১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ায় ক্ষমতায় ছিলেন বাশারের বাবা হাফিজ আল-আসাদ। বাবার মৃত্যুর পর ক্ষমতার মসনদে বসেন বাশার। প্রথমে সংস্কারের পথ ধরে এগোলেও পরে বাবার মতোই কর্তৃত্ববাদী শাসকে পরিণত হন। মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধীদের কঠোর নিপীড়নসহ নানা অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এর জের ধরে ‘আরব বসন্তের’ সময় ২০১১ সালে বাশারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। সেই গৃহযুদ্ধই চলছিল প্রায় ১৩ বছর ধরে। এ সময় রাশিয়া এবং ইরানের অকুণ্ঠ সমর্থন পান আসাদ। গত ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিদ্রোহীদের নতুন অভিযানে মাত্র ১২ দিনের মাথায় পতন দেখেন আসাদ।
আইএ