ঢাকা : দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে যাত্রীবাহী একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৬–তে পৌঁছেছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া দুজন ক্রু বাদে বাকি সবাই নিহতের আশংকা করছে দেশটির স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থা।
অন্যদিকে কি কারণে এ ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হল তারও কারণ জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার প্রধান লি জিয়ং হিউন। তিনি জানান, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগা ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি।
[240658]
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার পরপর দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে বিধ্বস্ত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ল্যান্ডিং গিয়ারে পাখি ঢুকে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিধ্বস্ত হওয়ার পর উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ল্যান্ডিং গিয়ারে জটিলতার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। একটি ছবিতে দেখা গেছে উড়োজাহাজের লেজের অংশে আগুন ধরে গেছে। ওই ছবি দেখে আরও মনে হচ্ছে উড়োজাহাজটি তখন রানওয়ের একপাশে ছিল।
[240654]
আরেক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের পর উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পুরো উড়োজাহাজে আগুন ধরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে এই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
এদিকে ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারসহ সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছে দেশটির বিমান সংস্থা জেজু এয়ার।
[240650]
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘মুয়ান বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের কাছে জেজু এয়ার কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়ে আমাদের মাথা নিচু করছি। আমরা এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনাদের কষ্টের জন্য আমরা দুঃখিত।"
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জেজু এয়ারের ইতিহাসে এই দুর্ঘটনাটি প্রথম মারাত্মক দুর্ঘটনা। জেজু এয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে কম খরচের বৃহৎ এয়ারলাইনগুলির মধ্যে একটি।
এমটিআই