ঢাকা: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত ১৫ মাস ধরে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হন, আহত হন ১০৪ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই যুদ্ধে গাজায় ৪৬ হাজার ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৩৭৮ জন। খবর আলজাজিরার।
[241448]
এদিকে গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে গণমাধ্যমের প্রচারের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেন, নতুন নিয়মের আওতায় কর্নেল ও তার নিচের পদমর্যাদার কোনো ইসরাইলি সেনাসদস্যের সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী গণমাধ্যম তাদের (সেনাসদস্য) পুরো নাম বা মুখমণ্ডল প্রদর্শন করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
[241435]
এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
আইএ