গাজায় মৃত্যুর মিছিল, লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম
গাজায় মৃত্যুর মিছিল, লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

ঢাকা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পরই গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আজ মঙ্গলবার এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৮ জনে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রথমে নিহতের সংখ্যা ৩০ জন বলে জানিয়েছিল আল জাজিরা। তবে রয়টার্সের বরাতে পরে নিশ্চিত করা হয়, নিহতের সংখ্যা ১০০ জনে পৌঁছেছে। এরপর হামাস দাবি করে, নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে, আহত হয়েছে আরও অনেক।

[246125]

ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর আলোচনার পরই হামলা : হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় হামলার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সরকার দাবি করেছে, এই হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, হামাস সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করেই তাদের সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার কেন্দ্রস্থলের তিনটি বাড়ি এবং রাফাহ ও খান ইউনিস এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

[246141]

নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ মঙ্গলবার সকালে এই হামলার নির্দেশ দেন। নেতানিয়াহু জানান, হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে তিনি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়ার জন্য হামাসকেই দায়ী করেছেন।

যুদ্ধবিরতির ব্যর্থতা এবং নতুন সংঘর্ষ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথ গ্রহণের একদিন আগে, ১৯ জানুয়ারি, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই ইসরায়েল আবারও গাজায় হামলা শুরু করে।

[246151]

গাজায় মানবিক বিপর্যয় : গত ১৫ মাসের সংঘর্ষে গাজায় অন্তত ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে লক্ষাধিক। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এই নিষ্ঠুর হামলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমটিআই

AddThis Website Tools