জাতিসংঘ

মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৫, ০২:১১ পিএম
মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে

ঢাকা : জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক দপ্তর ওসিএইচএ জানিয়েছে, মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও অবকাঠামোর কারণে ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের পার্শ্ব ঘর্ষণে উৎপত্তি হওয়া এ ভূমিকম্পে দেশটির প্রধান প্রধান সেতু ও মহাসড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এ কারণে দুর্যোগপূণ এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় মানবিক ত্রাণ পাঠানো যাচ্ছে না বলে শনিবার ওসিএইচএ জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, ইয়াঙ্গুন-নেপিদো-মান্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে, সড়কে ফাটল ও বহু স্থান উঁচুনিচু হয়ে যাওয়ায় মহাসড়কের বাসগুলো চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে।

[246826]

সংস্থাটি আরও জানায়, মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চল ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের হাসপাতালগুলো ভূমিকম্পে আহত লোকজনের স্রোতের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। পাশাপাশি রক্তের ব্যাগ, চেতনানাশক ও অন্যান্য ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

এই সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে রোববার (৩০ মার্চ) দেশটিতে তাঁবু ও জরুরি ওষুধবাহী ১৭টি কার্গো ট্রাক পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

ভূমিকম্পে ১৬০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর শনিবার মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা কয়েকশ বিদেশি উদ্ধারকর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে।

দরিদ্র, গৃহযুদ্ধকবলিত মিয়ানমারে গত ২০ বছরের মধ্যে এত তীব্র ও প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আর দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবারের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি গত শতাব্দীতে দেশটিতে হওয়া ভূমিকম্পগুলোর তুলনায়ও বেশি শক্তিশালী ছিল। চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে এই ভূমিকম্পের ধাক্কায় মিয়ানমারের স্থবির অর্থনীতি আরও ভঙ্গুর হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গৃহযুদ্ধের কারণে আগে থেকেই দেশটির লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে আছেন, এখন ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সংকট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এমটিআই

AddThis Website Tools