ঢাকা : দেশের অন্যতম পুষ্টি কর একটি ফল পেঁপে। এই পেঁপে কাঁচা-পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। এটা বারোমাসি ফল। বছরের প্রায় সব সময়ই কম বেশি পাওয়া যায় ফলটি। এই পেঁপে তো অনেকই খাওয়া হয়। তবে জানেন কি, এর উপকারিতা সম্পর্কে?
কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ১০০ গ্রাম শর্করা ৭.২ গ্রাম, ক্যালোরি থাকে ৩২ কিলো, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট বা চর্বি থাকে ০.১ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। নানা রোগের মহৌষুধ হিসেবে কাজ করে এই ফল।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর উপকারিতা সম্পর্কে:
১. যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা পেঁপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে যথেষ্ট আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। পেঁপেতে যেমন কম ক্যালোরি আছে, তেমন মেদ কমানোর জন্য বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে।
৩. কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃৎপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪. পেঁপেতে থাকা আঁশ ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা অম্লতা, পাইলস ও ডায়রিয়া দূর করতে পারে। মানুষের শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পেঁপে দারুণ কার্যকর।
৫. প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাবারের পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খান। তারপর এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের সমস্যাও দূর হয়।
৬. কাঁচা পেঁপেতে নানা রকম প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি এনজাইম হচ্ছে সাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন। এই দুটি এনজাইম প্রোটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সাহায্য করে।
৭. নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ করে ব্রণ এবং ত্বকের ওপর নানা দাগ দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে। মৃত কোষ সমস্যা দূর করতে পারে পেঁপে।
৮. যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। খেতে পারেন কাঁচা পেঁপের জুসও। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ