চোখ শুষ্ক হয়ে যায়? কি করবেন জানুন

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম

চোখ জ্বালাপোড়া, চোখ খচখচ, চোখ লাল, চোখে চুলকানি ও চোখে হালকা পিঁচুটি জমা হওয়া ড্রাই আই বা শুষ্ক চোখের লক্ষণ।

আমাদের চোখে অনেক গ্রন্থি আছে। চোখকে নিরাপদ রাখাই এগুলোর কাজ। কোনো কারণে গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে বা গ্রন্থিগুলো থেকে পানি নিঃসরণ কমে গেলে চোখ শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ ছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চোখের পানি তৈরির ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। চোখের পানির ঘনত্বেও আসে পরিবর্তন।

কেন হয় ‘ড্রাই আই’?

চোখের শুষ্কতা দুইভাবে হতে পারে। হয় চোখের পানি বা টিয়ারের উৎপাদন কমে গিয়ে। অথবা টিয়ারের বাষ্পীভূত হওয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে। চোখের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, বয়সজনিত এবং হরমোনের প্রভাবে টিয়ারের উৎপাদন কমে যায়।

প্রতিকার

১. হালকা ও আরামদায়ক গরম ভাপ চোখের ভেতরের অংশের সঞ্চালন বৃদ্ধি করে অশ্রু উৎপাদন ত্বরান্বিত করে। একই সঙ্গে গরম ভাপ আইলিড গ্ল্যান্ডের তেল নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি করে। হালকা গরম পানিতে নরম পরিষ্কার তোয়ালে চুবিয়ে পানি নিংড়ে ভাঁজ করে চোখের পাতার ওপর দিয়ে রাখতে হবে কয়েক মিনিট। প্রতিদিন দুইবার এভাবে গরম ভাপ নিলে তিন-চার দিনের মধ্যে চোখের শুষ্কতার সমস্যা কমবে।

২. চোখের পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করার মাধ্যমেও চোখের শুষ্কতা কমানো যায়। চোখের পাতা পরিষ্কার করতে ক্ষারমুক্ত বেবি শ্যাম্পু হাতের আঙুলে নিয়ে ঘষে ফেনা তৈরি করতে হবে। এবারে চোখ বন্ধ করে চোখের ওপরের পাতা বরাবর ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজের পুরো সময়টুকু চোখ বন্ধ রাখতে হবে। এবার হালকা গরম পানিতে চোখের পাতা ধুয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন রাতে একবার এভাবে চোখ পরিষ্কার করলে সমস্যা কমবে।

৩.ক্যাফেইন টিয়ার গ্ল্যান্ডের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে। যাঁদের ইনসমনিয়ার সমস্যা ও ক্যাফেইন সেনসিটিভিটি নেই, তাঁরা ক্যাফেইন (চা বা কফি) গ্রহণ করতে পারেন। দৈহিক ওজনের ওপর নির্ভর করে ২ থেকে ৬ কাপ পর্যন্ত কফি পান করতে পারবেন, যা চোখের শুষ্কতা কমাতে পারবে।

৪. প্রবল বাতাস ও আলোযুক্ত স্থানে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেল চালানোর সময় গগলস পরতে হবে। শুষ্ক চোখের সমস্যা নিয়ে যদি স্ক্রিন ওয়ার্ক করতে হয়, অর্থাৎ কম্পিউটার ও মুঠোফোন ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়, তবে গ্লাস পরে কাজ করতে পারেন। সানগ্লাস আলোকে স্তিমিত করে চোখে পৌঁছায়, এতে চোখের ওপর চাপ কম পড়ে এবং চোখের শুষ্কতাও হয় বিলম্বিত।

৫. যাঁরা দীর্ঘ সময় স্ক্রিন ব্যবহার করেন, তাঁরা বারবার বিরতি নেবেন। দৃষ্টি সরিয়ে নেবেন এবং চোখের পলক ফেলবেন। কম্পিউটারের লেভেলও যেন এমন উচ্চতায় থাকে, যাতে চোখ বড় বড় করে বা উঁচিয়ে দেখতে না হয়।

৬. ধূমপান চোখের শুষ্কতার ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান বর্জন করুন।

৭. হেয়ার ড্রায়ার, টেবিল ফ্যান, হিটার বা এসির বাতাস যেন সরাসরি চোখের ওপর এসে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ রাখুন। যাঁরা সব সময় হিটার বা এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার করেন, তাঁরা হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করবেন।  

ইউআর