ত্বকে অকাল বার্ধক্যের ছাপ কমাবে যেসব খাবার

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম

ঢাকা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ত্বক কুঁচকে যায় কিংবা চোখের নিচে অসংখ্য বলিরেখা দেয় । বয়সের ছাপ ত্বক এবং শরীর জুড়ে যাতে না থাকে, এর জন্য যৌবন থেকেই সুরক্ষা নিতে শুরু করুন। তবে ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে শরীরও ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে হবে। কারও কারও আবার অল্প বয়সেই চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়ে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং কিছু খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ত্বকে বয়সের ছাপ অনেকটা প্রতিরোধ করা যায়।যেসব খাদ্য গ্রহণ করলে অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করা যায়-

পাকা পেঁপে
এই ফলে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। ত্বকে বয়েসের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে চাইলে রোজের খাদ্যতালিকায় পেঁপে রাখতেই হবে। পেঁপে ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে পারে। ত্বকের দাগছোপ দূর করতেও ভীষণ উপকারী এটি।

দই
দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম যা ত্বককে মসৃণ এবং তরতাজা রাখে। দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে।

কাঠবাদাম
ত্বকের বলিরেখা দূর করে বয়সকে ঠেকিয়ে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় কাঠবাদাম। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন-ই যা ত্বককে সতেজ রাখে ভেতর থেকে। ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখতে কার্যকরী কাঠবাদাম।

গ্রিন টি
গ্রিন টি’তে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিকেল আছে। যা দেহের প্রদাহ হ্রাস করে। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিকেল বাড়লে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে থাকে।গ্রিন টি’তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি র‌্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে। যা কোষের ক্ষতি ঠেকাতে পারে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে বয়স বাড়লেও কমবে ত্বকের বয়স।

ফ্ল্যাক্সিড বা তিসি
ফ্ল্যাক্সিড ত্বক কুঁচকানোর হাত থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত তিসি খেলে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকে। এর ফলে ত্বক হয় কোমল এবং তারুণ্যময়। সেইসঙ্গে এর তেল ত্বক ও চুলে ব্যবহারের মাধ্যমেও উপকার মিলবে।এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ফ্ল্যাক্সিডের তেল যারা ১২ সপ্তাহ নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করেছেন; তাদের ত্বকে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে ৩৯ শতাংশ। এই অ্যান্টি-এজিং খাবারটি খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখতে পারেন।

মাশরুম
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে মাশরুমে। যা সাধারণ হাড়ের গঠন এবং রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনের খাবারে অল্প পরিমাণে হলেও মাশরুম রাখতে ভুলবেন না।

দুধ
৪০ পেরিয়ে গেলেও ডায়েটে রাখুন দুধ। এতে আছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম। যা শরীরের পেশিতে শক্তি বাড়ায় ও হাড়ের ক্ষয় থেকে মুক্তি মেলে। এ ছাড়াও দুধে থাকা ইলেক্ট্রলাইটস শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে।

ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটের একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। এটি খেতেও যেমন মজাদার; ঠিক তেমনিই এতে আছে বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ পুষ্টিগুণ- ক্যাফেইন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইত্যাদি। এসব উপাদানসমূহ যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

লেবু
সকালে এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার হাজারো উপকারিতা আছে। এই সাইট্রাস ফলটি ভিটামিন সি’তে ভরা। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে নারীরা নিয়মিত ভিটামিন সি গ্রহণ করে; তাদের ত্বকে কম বলিরেখা পড়ে এবং ত্বক থাকে টানটান।

ওটস
পুষ্টিবিদদের মতে, বয়স ৪০ পার হলেই কার্বস কম খাওয়া উচিত। এজন্য ভাতের বদলে নাস্তায় ওটস রাখতে পারেন। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। শরীরের শক্তি জোগাতেও সাহায্য করে ওটস। ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, ওটস যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
 
ইউআর