ঢাকা: সম্প্রতি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের শীর্ষ চার সংগঠনেরর ১১ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরিষদ এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রচলিত আইনে কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র একটি পেশার ১১ জন শীর্ষ নেতার ঢালাওভাবে ব্যাংক হিসাব তলব উদ্দেশ্যমূলক, যা অতীতে কখনো কোনো সময়ে কোনো পেশার ক্ষেত্রেই ঘটেনি। এ ধরনের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশার ওপর চাপ ও হুমকি বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর, রোববার দেশের সকল ব্যাংকে ১১ জন সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মোল্লা জালাল ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি আব্দুল কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান।
চিঠিতে বলা হয়, উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে কোন হিসাব অতীতে অথবা বর্তমানে পরিচালিত হয়ে থাকলে সে সকল হিসাবের যাবতীয় তথ্য (যাবতীয় কাগজপত্রাদিসহ হিসাব খোলার ফর্ম, কেওয়াইসি, ট্রানজেকশান প্রোফাইল, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) জরুরি ভিত্তিতে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিবরণীর শুধুমাত্র সফটকপি পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে এই সাংবাদিক নেতাদের নামে কোন হিসাব অতীতে অথবা বর্তমানে পরিচালিত না হয়ে থাকলে, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএইচ