ঢাকা: অনলাইন সংবাদমাধ্যম নিউজটাইম ডটনেটের কার্যক্রম আকস্মিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে সব কর্মীকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ ও আইনসঙ্গত পাওনা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সংবাদকর্মীরা। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের সামনে বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে এ মানববন্ধন হয়।
কর্মসূচিতে চাকরি হারানো সংবাদকর্মীরা বলেন- রংধনু শিল্পগ্রুপের মালিকানাধীন অনলাইন সংবাদমাধ্যম নিউজটাইম ডটনেটের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে আকস্মিকভাবে জানায় মালিকপক্ষ। কোনো লিখিত নোটিশ না দিয়ে কেবল মৌখিকভাবে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর কেবল সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দিয়ে সব কর্মীকে অফিসে যেতে নিষেধ করা হয়।
[236529]
মানববন্ধনে নিউজটাইম ডটনেটের বার্তা সম্পাদক মোতাহার হোসেন বুলবুল বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে রংধনু গ্রুপের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আহমেদ অপু দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। কাওসার আহমেদ অপু নিউজটাইম ডটনেটের প্রকাশক এবং মো. রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
নিউজটাইম বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর পর তারা কর্মীদের আইনসঙ্গত পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনায় সাড়া দেননি।
মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মাসুদ মোস্তাহিদ বলেন, ‘মালিকপক্ষের বেআইন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে নিউজটাইম ডটনেটের চাকরিচ্যুত সংবাদকর্মীরা আইনি ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান ও প্রকাশককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এরপরেও মালিকপক্ষের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। তারা বলছেন, সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে বাংলাদেশে কোনো আইন প্রযোজ্য নয়। মামলা করেও সাংবাদিকদের কোনো লাভ হবে না।’
মানবন্ধনে আরো বক্তব্য দেন নিউজটাইম ডটনেটের বার্তা প্রধান সঞ্জয় দে, সহকারী বার্তা সম্পাদক মেহরিন জাহান, নিজস্ব প্রতিবেদক মেহনাজ মুন্নি প্রমুখ।
কর্মসূচিতে আকস্মিক চাকরিচ্যুতির কারণে মানবেতর জীবনে পড়ার কথা জানান নিউজটাইম ডটনেটের সংবাদকর্মীরা। এ বিষয়ে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি নিউজটাইম ডটনেটের সংবাদকর্মীদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজকে সোচ্চার ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানানো হয় মানববন্ধনে।
বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও কর্মীদের চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়াসহ আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন নিউজটাইম ডটনেটের সংবাদকর্মীরা।
আইএ