ঢাকা : ইউরোপে ফের করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এ কারণে অর্থনীতি বাঁচাতে লকডাউন এড়িয়েই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কড়াকড়ি আরোপ করছে কয়েকটি দেশ। করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ খাদ্যের মজুত বাড়াচ্ছে। শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ সরকারও। কিন্তু খাদ্যশস্য মজুতে সন্তোষজনক চিত্র দেখা যায়নি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ কমে গেছে খাদ্যশস্য মজুত। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কয়েক দফা বন্যা ও করোনার মহামারীতে ত্রাণ নির্ভরতায় খাদ্যের মজুত কমে গেছে। তবে সরকার বলছে, পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় দুই ভোগ্যপণ্য আলু ও পেঁয়াজে নাকাল ভোক্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলার জন্য সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় এখনই মজুত বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
করোনা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের অনেক দেশেই এখন খাদ্যের উৎপাদন ও মজুত বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে গমের শীর্ষ আমদানিকারক মিসর এপ্রিলের পর থেকে পণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি হারে। খাদ্যশস্যের মজুত রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণে নিয়ে এসেছে জর্ডান।
এ ছাড়া খাদ্যশস্যের অন্যতম শীর্ষ ভোক্তা দেশ চীনও এখন আমদানি বাড়িয়ে চলেছে। আমদানি বাড়াচ্ছে পাকিস্তান, মরক্কোসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে কোনো কোনো দেশ খাদ্যশস্যের মজুত বাড়াতে এরই মধ্যে আগামী কয়েক মাসের জন্য আমদানি শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা থেকে মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ বছর খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রয়োজনমাফিক না হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সাম্প্রতিক এক প্রাক্কলনে বলা হয়, সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে চালের উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৩ কোটি ৬০ লাখ টনে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) দাবি, বাংলাদেশে আপাতত খাদ্যঘাটতির কোনো শঙ্কা নেই। তাদের গবেষণায় দেখানো হয়েছে, চালের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ দশমিক ৫৪ ভাগ বেড়েছে।
গত বোরো ও আমন মৌসুমের উদ্বৃত্ত উৎপাদন থেকে হিসাব করে জুন পর্যন্ত দেশের ভেতরে ২০ দশমিক ৩১ মিলিয়ন টন চাল ছিল। নভেম্বর পর্যন্ত চাহিদা মেটানোর পরও ৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন টন চাল দেশের ভেতরে উদ্বৃত্ত থাকবে। নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫০ কোটি মানুষের চাহিদা মেটানোর পরও ৩৬ থেকে ৭৮ দিনের চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত স্থানীয়ভাবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযানের ফলও খুব একটা সন্তোষজনক নয়। আমন মৌসুমে সরকারি ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি থাকলেও বিপরীত ঘটনা ঘটেছে বোরো মৌসুমের ক্ষেত্রে।
পরিসংখ্যান বলছে, সরকারি মজুত বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা থেকে চলতি বছর বোরো মৌসুমে মোট ৮ লাখ টন ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ টন। এ ছাড়া চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ১১ লাখ টন। এর বিপরীতে সেদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে যথাক্রমে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯০ ও ৯৯ হাজার ১২৩ টন।
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদি কী প্রভাব পড়বে, তা বলা মুশকিল। তবে বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দ্রুততার সঙ্গে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করছে। ফলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও খাদ্য উৎপাদনের ধারা বজায় আছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে; উৎপাদনে রেকর্ড করেছে। মহামারীর চরম বিরূপ পরিস্থিতি এবং ঘূর্ণিঝড়, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে। এই অর্থবছরে চালের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩ কোটি ৮৭ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মঙ্গলবার পর্যন্ত হালনাগাদকৃত দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ওই দিন পর্যন্ত (২০ অক্টোবর) দেশে খাদ্যশস্যের মোট মজুতের পরিমাণ ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৮০০ টন। এর মধ্যে চাল রয়েছে ৮ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬০ টন ও গম ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৪০ টন।
প্রতিবেদনে এ মজুত পরিস্থিতিকে সন্তোষজনক বলে দাবি করা হলেও পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের একই সময়ে দেশে খাদ্যশস্যের মোট মজুত ছিল ১৬ লাখ ২০ হাজার ৩২০ টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খাদ্যশস্যের মজুত হ্রাস পেয়েছে ২৫ শতাংশের বেশি।
অন্যদিকে এক মাস আগের মজুত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েও বলা যায়, দেশে খাদ্যশস্যের মজুত হ্রাস পাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সরকারি গুদামগুলোয় মোট খাদ্যশস্য মজুতের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ১৯ হাজার টন। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশে খাদ্যশস্যের মজুত হ্রাস পেয়েছে ১৬ শতাংশের কাছাকাছি।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে যে পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে, তাতে দেশে খাদ্যের কোনো অভাব হবে না।
তিনি বলেন, এবার রেকর্ড পরিমাণ সর্বোচ্চ ২ কোটি ২ লাখ টন বোরো ধান উৎপাদন হয়েছে। আমন উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৫৩ লাখ টন। ৩৪ লাখ টন আউশ ধান উৎপাদন হয়েছে। আমরা বাজার থেকে ধান কিনি কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দেয়ার জন্য। এই মুহূর্তে আমরা প্রায় ৭৫ ভাগ ধান-চাল সংগ্রহ করতে পেরেছি। এতে আমাদের রেশনসহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় অসুবিধা হবে না। পর্যাপ্ত মজুত আছে।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে অতি সত্বর ১০-১৫ লাখ টন চাল আমদানি করে রাখা উচিত বলে মনে করছেন সাবেক খাদ্যসচিব আবদুল লতিফ ম্লল। তিনি বলেন, আগামী বিপদের কথা ভেবে বিভিন্ন দেশ খাদ্য আমদানি করা শুরু করে দিয়েছে।
গমের ক্ষেত্রে যেহেতু এমনিতেই আমরা অনেকটা আমদানিনির্ভর, এ কারণে গমের ক্ষেত্রে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে চালটা এখন আমাদের আমদানি করা উচিত। এ জন্য সরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে শুল্ক সুবিধা দিয়ে আমদানি বাড়ানো প্রয়োজন, যেটা বিশ্বের অন্য অনেক দেশ করছে।
সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১৭ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের মতো। তাতে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করতে হয় ৭ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন, যার বেশির ভাগটাই আমদানি হয় ভারত থেকে।
সমপ্রতি ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর হঠাৎ করে দেশে পেঁয়াজের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বাংলাদেশে বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদার ৪০ শতাংশ আমদানি করতে হয়, যার ৯৫ শতাংশ আসে ভারত থেকে। সে জন্যই ভারত রপ্তানি বন্ধ করলে বাংলাদেশের বাজারে দাম বাড়ে।
যদিও ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে পৌঁছতে শুরু করেছে, সেইসঙ্গে দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। উৎপাদনকারী কৃষকরা এসব পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ বেড়েছে। পেঁয়াজের পর সমপ্রতি হঠাৎ করে বেড়ে গেছে আলুর দাম। অথচ দেশে যে আলু রয়েছে তা দিয়ে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত চলে যাবে বলে তথ্য রয়েছে সরকারের কাছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে, বাংলাদেশে গত মৌসুমে ১ কোটি ৯ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে, যেখানে বছরে আলুর চাহিদা ৭৭ লাখ টন। সেই হিসাবে ৩১ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকার কথা।
জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বছর করোনাভাইরাস মহামারীতে হতদরিদ্র মানুষ ও রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ করা ত্রাণে বিপুল পরিমাণ আলু বিতরণ করায় ও বন্যার কারণে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আলু উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু এরপরও আলুর দাম ৫০-৫৫ টাকা গ্রহণযোগ্য নয়।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে ৭৪৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ কম। মহামারীর আগে প্রতি মাসে পণ্য আমদানিতে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হলেও এখন তা ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানিসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বিভিন্ন পণ্য আমদানি জন্য ৭৩৬ কোটি ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ওই দুই মাসে ৯৫০ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। এ হিসাবে দুই মাসে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্যের এলসি খোলা কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, জুলাই-আগস্ট সময়ে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ১৮ শতাংশ। গত বছরের এই দুই মাসে যেখানে ৮৯৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল, এ বছর একই সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৩৬ কোটি ডলারের এলসি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, কোভিড-১৯-এর প্রকোপ বাড়ায় ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। আর পরিস্থিতি ভালো হলেই যে মানুষের আগের মতো ক্রয়ক্ষমতা থাকবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। দীর্ঘদিন সবকিছু বন্ধ থাকার কারণে কাজকর্ম নেই। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন; কেউ আবার চাকরিতে থাকলেও ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না। মানুষের হাতে টাকা না থাকলে চাহিদা বাড়বে না; আমদানিও বাড়বে না।
অন্যদিকে বর্তমানে বিভিন্ন দেশে খাদ্যপণ্য আমদানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে মহামারী-সৃষ্ট অনিশ্চয়তাকে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আবদোলরেজা আব্বাসিয়ানের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ সম্প্রতি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ভবিষ্যতে আবারো সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত ঘটানোর আশঙ্কা থেকে অনেক দেশ এখন খাদ্য আমদানি বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে।
এর মধ্যে প্রকৃতপক্ষেই খাদ্যের কৌশলগত মজুত বাড়ানোর উদ্দেশ্য রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি দেশের। বাকি দেশগুলোর আমদানি বাড়ানোর পেছনে যেসব কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, স্থানীয় সরবরাহ পরিস্থিতি ও স্থানীয় বাজারে মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলোও রয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণেও কোনো কোনো দেশ আমদানি বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমদানি চাহিদা বাড়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের মূল্যসূচকও এখন ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরেও টানা চতুর্থ মাসের মতো ঊর্ধ্বমুখী ছিল বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য সূচক। ওই সময় বৈশ্বিক গড় খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২ শতাংশের বেশি।
সোনালীনিউজ/এমটিআই