বরিশালের এএসপির মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১০

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২০, ০১:১৮ পিএম

ঢাকা: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আদাবর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় শ্যামলীতে উপ-পুলিশ কমিশনারের (তেজগাঁও বিভাগ) কার্যালয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। 

তিনি জানান, রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনার ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

এর আগে আনিসুল করিমের বাবা ফয়জউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন আদাবর থানার পরিদর্শক ফারুক মোল্লা।

নিহতের ভাই রেজাউল করিম সবুজ বলেন, আনিসুলকে সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) পদে বিএমপিতে পদায়ন করা হয়েছিল। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বরিশাল থেকে আনিসুলকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (এনআইএমএইচ) নিয়ে আসা হয়। তিনি মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

সেখান থেকে, সকাল সাড়ে ১১টায় আনিসুলকে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে আবারও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হলে সেখানে আনার আগেই আনিসুল মারা যান বলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ঘটনার পরে পুলিশকে খবর দেয় সবুজ। পরে পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেখানে দেখা যায় কয়েকজন মিলে আনিসুলকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মারধর করে।

সবুজ বলেন, মাইন্ড এইড হাসপাতালের কর্মীরা তার ভাইকে হত্যা করেছে।

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (তেজগাঁও বিভাগ) হারুন-অর-রশিদ বলেন, তারা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই-বাছাই করছেন।

তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় মাইন্ড এইড হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’

এদিকে মঙ্গলবার সকালে ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে জানাজার নামাজ শেষে গাজীপুর সিটির কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুল করিমের লাশ দাফন করা হয়েছে ।

সোনালীনিউজ/এমএইচ