ঢাকা : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে সবাইকে রক্ষায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে কঠোর হচ্ছে সরকার। সবাইকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোবাইল কোর্টগুলোকে আরও কঠোর হতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৩ নভেম্বর) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
অনির্ধারিত আলোচনায় আবারও মাস্কের বিষয়টা খুব স্ট্রংলি আসছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গতকাল বিভাগীয় কমিশনাররা জানিয়েছেন এবং গত সাতদিন ধরে জানাচ্ছেন যে তারা ম্যাসিভলি জরিমানা করছেন। গতকাল কয়েক হাজার লোককে জরিমানা করা হয়েছে। আমরা বলেছি আরও এক সপ্তাহ দেখতে, মানুষকে আরও মোটিভেশন করো। তারপরে আরেকটু স্ট্রং পানিশমেন্টে যেতে হবে।
মাস্ক না পরলে কী ধরনের ‘কঠিন’ সাজা দেওয়া হতে পারে, সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ফাইন বাড়িয়ে দিতে পারে। হয়ত এক হাজার টাকা, ৫০০ টাকা ফাইন করল সেটাকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিল। আমরা আরেকটু স্ট্রং ইয়ে (ব্যবস্থায়) যেতে বলেছি।
মাস্ক না পরার কারণে যারা ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে জরিমানা বা সাজার মুখে পড়বেন, তাদের হাতে মাস্ক তুলে দেওয়া হবে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন, তারা সঙ্গে মাস্ক নিয়ে যাবেন, যাতে মানুষকে জরিমানা করার পর সেগুলো দিয়ে দেওয়া যায়।
রোববার কমিশনার সভায় ধর্ম সচিব এবং শিক্ষা সচিব যুক্ত ছিলেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ম্যাসিভ প্রচার করতে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে প্রতিদিনই মানুষ মারা গেলেও নানা অযুহাতে এখনও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু দিন ধরে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ