ঢাকা : সম্প্রসারি টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. সামসুল হক জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী গ্যাভি-দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের (দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস) ব্যবস্থাপনায় কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
অর্থায়নের মাধ্যমে গ্যাভি থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করবে বাংলাদেশ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর শর্ত অনুযায়ী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য জাতীয় ভ্যাকসিন বিতরণ পরিকল্পনা জমা দেবে। গ্যাভির প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য ব্যয় হয়েছে এক দশমিক ৬২ থেকে দুই ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩৫ বা ১৭০ টাকা।
ডা. সামসুল হক বলেন, ‘যারা আগে জাতীয় ভ্যাকসিন বিতরণ পরিকল্পনা জমা দেবে তারাই আগে ভ্যাকসিন পাবে। গ্যাভি যখন থেকে পরিকল্পনা জমা নেয়া শুরু করবে, আশা করছি আমরা প্রথম দিনই আমাদের পরিকল্পনা জমা দিতে পারব।’
কোভ্যাক্স সুবিধায় আসা ভ্যাকসিন ছাড়াও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন।
ডা. সামসুল হক আরো জানান, প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য সরকারকে এক দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হবে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ