ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে ‘গুরুতর অসদাচরণ, আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের’ অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতিকে ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের দেয়া চিঠিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিকেরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, কী উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেছেন, সেটা তারাই বলতে পারবেন।
অভিযোগগুলোর বিষয়ে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরে কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, বিশিষ্টজনরা দুয়েকটা পত্রিকা বা টেলিভিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ ও গাড়ি ব্যবহারের বিষয়টা যে পত্রিকা ছেপেছিল, সেখানে আমরা রিজয়েন্ডার দিয়েছিলাম। আমরা জানি না, সেটা তাদের নজরে এসেছে কি না। দ্বিতীয়ত, গাড়ি ব্যবহারের বিষয়; আমার মনে হয় না আমাদের সেই প্রয়োজন আছে। কারণ আমাদের প্রাধিকারভুক্ত যে গাড়ি, সেটাই আমরা শপথ নেয়ার তিন বছর পর পেয়েছি। যে গাড়িগুলো তারা অত্যন্ত বিলাসবহুল হিসেবে উল্লেখ করেছেন, আমরা জানি না বিলাসবহুল ছাড়া অন্য গাড়ি কোনগুলো। আমি তো দেখেছি, সেগুলো ইউএনওরাও ব্যবহার করছেন। বাড়তি গাড়ি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা আমার নাই, আমার বিশ্বাস অন্যদেরও নাই।
তিনি আরো বলেন, একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতির কাছে তারা অভিযোগ উত্থাপন করলেন, আবার আমাদেরকেও অভিযুক্ত করে ফেললেন। শুধু সেটা না, আমাদের কী করণীয় বা আমাদের কী দণ্ড সেটাও এক অর্থে তারা দিয়ে দিলেন। সেটা কতখানি বিবেচনাপ্রসূত বা শিষ্টাচারবর্জিত কি না, সেটা বিবেচনার ভার আপনাদের।
এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট চেষ্টা করছে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য। নির্বাচন কমিশনের যতটুকু করণীয় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
নির্বাচন কমিশন প্রশ্নের সম্মুখীন হলো কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি মনে করি না। জাতির কাছে আপনাদের মাধ্যমে আমি তুলে ধরেছি যে সেটা কতখানি বিবেচনাপ্রসূত।
যে অভিযোগগুলো বিশিষ্টজনের তুলেছেন, সে বিষয়ে এখন রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটা তার ব্যাপার, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সোনালীনিউজ/আইএ