ঢাকা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪১ সালের ম্যাট্রিক পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করায় আবারো লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন। কারণ তাকে পাস করতে হবে। এ সময় প্রায়ই তিনি শহীদ সাহেবের কাছে যেতেন। তিনিও বঙ্গবন্ধুকে স্নেহ করতেন। আর মুসলিম লীগ বললেই গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধুকেই বোঝাতেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দেশের অবস্থা ভয়াবহ। এই সময় ফজলুল হক সাহেবের সাথে বঙ্গবন্ধুর মনোমালিন্য হয়। হক সাহেব জিন্নাহ সাহেবের হুকুম মানতে রাজি না হওয়ায় মুসলিম লীগ ত্যাগ করে নয়া মন্ত্রিসভা গঠন করলেন শ্যামা প্রসাদ মুখার্জির সাথে। এতে মুসলিম লীগ ও ছাত্রকর্মীরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করল। বঙ্গবন্ধুও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন।
এ বছর তিনি দ্বিতীয় বিভাগে পাস করে কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হয়ে বেকার হোস্টেলে থাকতেন। নাটোর ও বালুর ঘাটে হক সাহেবের দলের সাথে মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থীদের দুটা উপনির্বাচন হয়। শহীদ সাহেবের হুকুম মতে বঙ্গবন্ধু দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন ও অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।
১৯৪১ সালের ঘটনা। ফরিদপুর ছাত্রলীগের জেলা কনফারেন্সে শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা হলেন কবি নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির ও ইব্রাহিম খাঁ সাহেব। কিন্তু সেই সভাটি করতে দেওয়া হয়নি। তাই বঙ্গবন্ধু ও তার সতীর্থরা হুমায়ুন কবির সাহেবের বাড়িতে কনফারেন্স করলেন। কাজী নজরুল ইসলাম সাহেব গান শোনালেন।
বঙ্গবন্ধু ও তার সতীর্থরা বললেন, কনফারেন্সে রাজনীতি হবে না। শিক্ষা ও ছাত্রদের কর্তব্য সম্পর্কে বক্তৃতা হবে। এ সময় ছাত্রদের মধ্যে দুইটা দল হয়ে গেল।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে সংগৃহীত
সোনালীনিউজ/এমটিআই