ঢাকা : ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, ঢাকার চারটি হাসপাতালে প্রথম দফায় করোনার টিকা দেয়া হবে। টিকার কার্যক্রম শুরু হবে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে। এছাড়া টিকা নিতে হলে একটি অ্যাপে নিজেদের তথ্য দিয়ে তালিকাভুক্ত করতে হবে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় উপহারের ২০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসবে। সেখান থেকে নিয়ে টিকা রাখা হবে তেজগাঁওয়ে ইপিআইয়ের স্টোরেজে। আর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারিভাবে বাংলাদেশের কেনা টিকার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ ২৫ জানুয়ারি দেশে পৌঁছাবে।
সরকারিভাবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনছে। আর ভারত সরকার উপহার হিসেবে যে টিকা পাঠাচ্ছে, সেটাও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা।
আবদুল মান্নান বলছেন, প্রথম মাসে ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে। পরের মাসে দেয়া হবে ৫০ লাখ। তৃতীয় মাসে আবার ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে। প্রথম মাসে যারা টিকা নেবেন, তারা তৃতীয় মাসে আবার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।
তিনি বলেন, টিকা হাতে আসার পর ২৭ অথবা ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় প্রথমে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। ঢাকা মেডিকেল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে প্রাথমিকভাবে এই টিকা দেয়া হবে। এরপর একযোগে সারা দেশে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকোটল অনুযায়ী এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। এরপর টিকা দেয়া হবে সারাদেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। তবে কবে থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে, সেটা প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করে দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই