ঢাকা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতে, লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান দুইটা হবে। একটা বাংলা ও আসাম নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান। আরেকটা পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান, সীমান্ত ও সিন্দু প্রদেশ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান।
অন্যটা হবে হিন্দুস্তান, ওখানে হিন্দুরাই সংখ্যাগুরু থাকবে, তবে সমান নাগরিক অধিকার পাবে সেখানকার মুসলমানরা।
বঙ্গবন্ধুর কাছে ভারতবর্ষের একটা ম্যাপ থাকতো। আর হাবীবুল্লাহ বাহার সাহেবের ‘পাকিস্তান’ বই এবং মুজিবুর রহমান খাঁ সাহেবের ‘পাকিস্তান’ নামের আরেকটি বই তার প্রায় মুখস্থ ছিলো।
এছাড়া তার ব্যাগে আজাদ পত্রিকার বিভিন্ন কার্টিংও থাকতো। শুধু তা-ই নয়, সিপাহি বিদ্রোহ ও ওহাবি আন্দোলনের ইতিহাসও তার জানা ছিলো।
কেমন করে ব্রিটিশরা মুসলমানদের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল, কী করে রাতারাতি মুসলমানদের সর্বস্বান্ত করে হিন্দুদের সাহায্য করেছিলো, মুসলমানরা কীভাবে ব্যবসা বাণিজ্য, জমিদারি, সিপাহির চাকরি থেকে বিতাড়িত হলো, কেন ইংরেজরা মুসলমানদের স্থান হিন্দুদের দিয়ে পূরণ করলো, তা সবই জানা ছিলো বঙ্গবন্ধুর।
তিনি জানতেন, মুসলমানরা কিছুদিন আগেও দেশ শাসন করছিলো, তাই তারা ইংরেজদের গ্রহণ করতে পারেনি। তাই সুযোগ পেলেই বিদ্রোহ করতো। আর ওহাবি আন্দোলনে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার বাঙ্গালী সমস্ত ভারতবর্ষ পায়ে হেঁটে সীমান্ত প্রদেশে যেয়ে জেহাদে শরিক হয়েছিলো।
তাই তিতুমীরের জেহাদ, হাজী শরীয়তুল্লাহর ফারায়জি আন্দোলনের কথা তুলে ধরেই বক্তৃতা করতেন বঙ্গবন্ধু।(বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে সংগৃহীত)
সোনালীনিউজ/এমটিআই