ঢাকা : দেশে তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কেন্দ্র দখল, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া আর বিএনপির প্রার্থীদের বর্জনের মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় এসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলে।
এদিকে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফেনী, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, নাটোরের সিংড়া, ময়মনসিংহের ভালুকা, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, বগুড়ার শিবগঞ্জ, বরিশালের গৌরনদী, সাতক্ষীরার কলারোয়া এবং টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। আর মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে না আনায় একদিন আগে শুক্রবার ভোট বর্জন করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী।
ফেনী: ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল নির্বাচন বর্জন করেছেন। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলাল অভিযোগ করেন, ‘দুটি কেন্দ্র ছাড়া বাকি সব কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা বিএনপির প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছেন। ১৮ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিন্তু একজনকেও মাঠে পাইনি। নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার অভিযোগ করার পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছে না। চর দখলের মতো প্রশাসনের সহযোগিতায় কেন্দ্র দখলের উৎসব চলছে। তাই আমি এ নির্বাচন বর্জন করলাম।’
কিশোরগঞ্জ: কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ অভিযোগ করেন, সকালে ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থকরা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিচ্ছেন। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারছে না। অনেক কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এ অবস্থায় নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান তিনি। একই সাথে নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোট নেয়ার দাবি জানানো হয়।
নাটোর: নাটোরের সিংড়া পৌর নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে সিল মারা, এজেন্টদের মারধর ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. তায়জুল ইসলাম। প্রশাসনের বিরুদ্ধেও তিনি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন। শনিবার দুপুর ১টায় পৌর বিএনপি’র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
তায়জুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে ভোট কাটা শুরু হয়ে গেছে। আমাদের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে সিল মারা হচ্ছে নৌকা মার্কায়। এই নির্বাচন বর্জন করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নাই। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি এই নির্বাচন বর্জন করলাম।’
ময়মনসিংহ: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়া, এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগে পৌরসভা নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করলেন ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার বিএনপির মেয়র প্রার্থী আলহাজ হাতেম খান।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভালুকার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জন করেন তিনি। বিএনপির মেয়র প্রার্থী আলহাজ হাতেম খান বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোর ভেতর-বাইরে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা অবস্থান নেন।
পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্র দখলে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বগুড়া: কেন্দ্র দখল করে ভোটাদের কাছ থেকে জোর করে ভোট নেওয়া এবং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌর নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমান মতিন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১২টায় শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এই ঘোষণা দেন।
মতিয়ার রহমান বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এক দল লোক সবুজ টুপি পরে অবস্থান নিয়েছে। তারা বিএনপির ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করছে নৌকার এজেন্টরা তাদের জোর করে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করছে। ১১টি কেন্দ্র থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে আমার সব এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেককে মারধর করা হয়েছে। তাই আমি এই ভোট বর্জন করতে বাধ্য হলাম।’
চুয়াডাঙ্গা: দর্শনা পৌরসভার বিএনপি–মনোনীত মেয়র প্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাবিবুর রহমান নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
হাবিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ সকাল থেকে সরকারদলীয় লোকজন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেন। কোনো কোনো কেন্দ্রে তার এজেন্টদের ঢুকতেও দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া সাধারণ ভোটারদের ধানের শীষে ভোট না দিতে সরকারদলীয় লোকজন ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন। এসব কারণে তিনি নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন।
বরিশাল: দুটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের কর্মীদের মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন বরিশালের গৌরনদী পৌর নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান। শনিবার বেলা ১টায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জন করেন তিনি। এর আগে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে হামলাসহ সুনির্দিষ্ট ৫টি লিখিত অভিযোগ দেন ধানের শীষ প্রতীকের এ প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে জহির সাজ্জাদ হান্নান বলেন, বেলা ১১টায় গৌরনদী পাইলট বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে নৌকা প্রতীকের দুই কর্মী প্রিজাইডিং অফিসারের সামনে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। তখন প্রিজাইডিং অফিসার কোনো পদক্ষেপ নেননি। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় গৌরনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা তার ওপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি-লাথি মারে। পুলিশ তখন নিরব ছিল।
রিটানিং অফিসারের কাছে বিএনপি প্রার্থী হান্নান শরিফের লিখিত অভিযোগুলো হচ্ছে- বিএনপি প্রার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, নৌকার এজেন্ট দ্বারা বিএনপির এজেন্ট অবরুদ্ধ করে রাখা, প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক বিএনপির এজেন্টেকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, ৬ নং ওয়ার্ডে অনিয়ম ও ভোটকেন্দ্র দখল, ৯ নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে গুরুতর অনিয়ম।
এ ব্যাপারে গৌরনদী সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান তালুকদার বলেন, বিএনপি প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা: কলারোয়া পৌর নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নার্গিস সুলতানাও ভোট বর্জন করেছেন। শনিবার নিজ কার্যালয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন বলন, ভোট কারচুপি, তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট ছিনিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়েছে। এ সময় ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চাইলে তাকে সহযোগিতা করা হয়নি। বরং মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এ বিএনপি প্রার্থীর।
নার্গিস সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হচ্ছে এবং কোথাও কোথাও নৌকা প্রতীকে সিল মারা ব্যালট সরবরাহ করা হচ্ছে।
এছাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আসাদ খান, কাউন্সিলর প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও মোজাহিদুল ইসলাম ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল: মধুপুর পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে এনে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আব্দুল লতিফ পান্না। পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদনে এ দাবি জানান আব্দুল লতিফ পান্না।
বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার এজেন্টদের কেন্দ্রে থেকে বের করে দিয়েছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। ভোটারদের কাছে থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করা হলে প্রশাসনের কেউ কর্ণপাত করেনি। পরে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করে নির্বাচন বর্জন ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি। পুনরায় নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছি।’
মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে না আনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করলেও ভোট দিয়েছেন বিএনপি নেতা ফয়জুল করিম ময়ূন। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে তাকে দেখা যায় বলে জানান ভোটার ও সেখানে অবস্থান করা গণমাধ্যম কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যম কর্মীরা জানান, ফয়জুল করিম ময়ূন ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট দেন। তখন তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি দৌড়ে ভোট কেন্দ্র থেকে পালান।
ওই কেন্দ্রের নৌকার এজেন্ট রাজন আহমদ জাবেদ বলেন, ফয়জুল করিম ময়ূন সকালে ৯ নম্বর বুথে ভোট দেন। তার ভোটার তালিকার নম্বর ৫৬৭। তালিকা অনুযায়ী তিনি বেরীরচর এলাকার বাসিন্দা।
ফয়জুল করিম ময়ূন পৌর নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অলিউর রহমানের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও তিনি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি ও মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র।
এর আগে গতকাল (২৯ জানুয়ারি) মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পৌর নির্বাচনের পরিবেশ ২৪ ঘণ্টার ভেতর ফিরিয়ে না আনায় এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করায় পৌর নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. অলিউর রহমান ভোট বর্জন করেন। এ সময় ফয়জুল করিম ময়ূন ভোট কেন্দ্রে বিএনপির কেউ যাবে না বলে জানান।
এ ব্যাপারে ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, আমি ভোট কেন্দ্রের পাশে একটি কাজে গিয়েছিলাম। তবে ভোট দিইনি।
তৃতীয় দফায় মেয়র পদে সব মিলিয়ে মোট ১০টি দলের প্রার্থী ছিলেন। বরাবরের মতোই মূল লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে। এই ধাপে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভায় মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হয়নি। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
তৃতীয় ধাপে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ৩৩৪৪ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে ২২৯ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৫৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৬০ জন। ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৬৩ হাজার। মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫৯৯টি, কেন্দ্র সংখ্যা ৮৫৪।
দেশে পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার পাঁচ ধাপে এসব পৌরসভায় নির্বাচন করছে কমিশন। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় গত ২৮ ডিসেম্বর ইভিএমে ভোট হয়েছে। এরপর ১৬ জানুয়ারি ভোট হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ৬১ পৌরসভায়। তৃতীয় ধাপের পর চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে। দলীয় প্রতীকের এ ভোটে মেয়র পদে প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ জন, বিএনপির দুই জন এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন।
দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগের ৪৫ জন, বিএনপির ৪ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন, জাসদের ১ জন ও ৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে বিজয়ী হন। মহামারির মধ্যে প্রথম ধাপে ৬৫ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬২ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ