সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মুজিব কোটে মোদি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২১, ০৫:৩০ পিএম
সংগৃহীত

ঢাকা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজ শেষ দিন। এদিনের প্রতিপাদ্য ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছে। এরপর অতিথিরা আসনগ্রহণ করেছেন। ধর্মগ্রন্থ তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা পর্ব শুরু হয়েছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

পাশাপাশি উপস্থিত আছেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীসহ বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। এ অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, দেশের বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং স্যোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী-প্রথমপর্বে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আলোচনা অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি এবং দ্বিতীয়পর্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তৃতা করবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এরপর সম্মানিত অতিথিদের ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধাস্মারক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রদানের পর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লোগো উন্মোচন করা হবে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে নবনির্মিত রাগ ‘মৈত্রি’ পরিবেশনা, ‘বঙ্গবন্ধু দিয়েছে স্বাধীন স্বদেশ, কন্যা দিয়েছে আলো’ শীর্ষক থিমেটিক কোরিওগ্রাফি।

‘বিন্দু থেকে সিন্ধু’ শীর্ষক তিনটি কালজয়ী গান, ঢাক-ঢোলের সমবেত বাদ্য ও কোরিওগ্রাফি সহযোগে ‘বাংলাদেশের গর্জন : আজ শুনুক পুরো বিশ্ব’ এবং সবশেষে ফায়ার ওয়ার্কস ও লেজার শোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ