ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দ্বিতীয় দফার ‘কঠোর লকডাউনে’র সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধ থাকবে। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিন সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
তবে এসময়ে কার্গো ফ্লাইট, ত্রাণ, মেডিক্যাল ইভাকুয়েশন, টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং, বিশেষ অনুমতি প্রাপ্ত ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। এসব ফ্লাইটের ক্ষেত্রে মানতে হবে বিশেষ নির্দেশনা।
রোববার (১১ এপ্রিল) রাতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক জানিয়েছে, কার্গো ফ্লাইট, ত্রাণ, মেডিক্যাল ইভাকুয়েশন, টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং, বিশেষ অনুমতি প্রাপ্ত ফ্লাইটের ক্ষেত্রে যাত্রী ও ক্রুদের ডিজেইনফেকশন, স্যানেটাইজিংসহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ অনুমতি প্রাপ্ত ফ্লাইটেও বড় উড়োজাহাজে ২৬০ এবং ছোট উড়োজাহাজে ১৪০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। এসব ফ্লাইটের যাত্রীদের যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটি পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে থাকতে হবে। বিশেষ অনুমতি প্রাপ্ত ফ্লাইটের যাত্রীদের দেশে আসলে ১৪ দিন সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন সেন্টার অথবা নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
গত বছর মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে বন্ধ করে দেওয়া হয় সব ধরনের ফ্লাইট। পরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে জুলাই থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু করা হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে চালু হয় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে গত ৩ এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের সব দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বেবিচক। এটি ছাড়াও বিশ্বের আরো ১২টি দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএইচ