ঢাকা : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সব রকম সীমান্ত বন্ধ রাখতে হবে।
সোমবার (১৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের সময় মতো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলেই করোনায় এখনও বাংলাদেশ অনেকটাই নিরাপদে রয়েছে। তবে, আগামী কিছুদিন আমাদেরকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ঈদ শেষে মানুষ যেন আগামী কিছুদিন ঢাকায় ফিরতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ভারতের সাথে সব রকম সীমান্ত বন্ধ রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দিনে গড়ে প্রায় ৪ হাজার মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে এবং দৈনিক ৩ থেকে ৪ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ ভারতের এত নিকটবর্তী দেশ হয়েও আমাদের দেশে বর্তমানে সংক্রমণ দিনে ৩০০ জনের কাছাকাছি নেমে গেছে। ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেশে চলে এলেও তাদেরকে সঠিকভাবে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করার ফলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি দেশে এখনো ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।
ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, রাশিয়া, চীন, ইউকেসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সরকারের ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে। খুব শিগগিরই হয়তো এ বিষয়ে সুখবর দেয়া সম্ভব হবে।
ভ্যাকসিন ক্রয়ের পাশাপাশি দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে চায় সরকার বিষয়টি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিন ক্রয়ের পাশাপাশি দেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলিকে কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদন নিতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসন সব ধরণের উৎপাদন ক্ষমতা যাচাই-বাছাই করে কিছু নাম সুপারিশ করলে তখন সেগুলি থেকে নির্দিষ্ট করে উপযুক্ত কোন এক বা একাধিক কোম্পানিকে উৎপাদন ক্ষমতা দেয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যসেবা সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবরা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ