ঢাকা : ইউনিয়ন পরিষদের আদলে সংশোধীত বাজেটে বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৮ দফা দাবী বাস্তবায়ন এবং ঈদুল আযহার পূর্বে শতভাগ বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে আগামী ২৫ জুলাই থেকে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাগুলোতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষনা।
শনিবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষনা দেয় বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন।
এর আগে শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন। এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয়/বিভাগ/জেলা ও ইউনিট নেতৃবৃন্দের উপস্থিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল আলীম মোল্যা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের ৫১(১) অনুচ্ছেদে পৌরসভা সমূহকে প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে ঘোষনা করেন। কিন্তু সরকারের অন্যান্য প্রশাসনিক ইউনিটের কর্মচারীদের সাথে সীমাহীন বৈষম্য থাকার কারনে পৌরসভার কর্মচারীদের দুঃখ দুর্দশা চরম আকার ধারন করেছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পৌর কর্মচারীগনের রাত দিন পরিশ্রমের কারনে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে। অথচ পৌর কর্মচারীগন বেতন না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশের ৩২৯ টি পৌরসভার মধ্যে প্রায় ৭৫% পৌরসভায় ২ থেকে ৭০ মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা বকেয়া রয়েছে।
এ পর্যন্ত ১০২৬ জন অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীর প্রায় ৩৮৫ কোটি টাকা অবসরকালীন ভাতা বকেয়া রয়েছে। তাছাড়া ৩২৯ টি পৌরসভায় ১১,৬৭৫ জন পৌর কর্মচারীদের সর্বমোট প্রায় ৮৭৫ কোটি টাকা বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। বেতন -ভাতা বিহীন কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তদুপরি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে নতুন মেয়রগন সেচ্ছাচারীতা অব্যাহত রেখেছেন। নির্বাচিত হয়েই পুরাতন মাস্টাররোল কর্মচারীদের ছাটাই করে অর্থের বিনিময়ে নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া এবং কর্মকর্তাদের জিম্মি করে বেতন বকেয়া রেখে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে রাজস্ব তহবিল হতে বিধি বর্হিভুতব্যয় করা অধিকাংশ মেয়র গনের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।
অপরদিকে বেতন-ভাতা না পেয়েও কর্মচারীদের বাধ্য করে মানহানিকর অতিরিক্ত কাজ করানোর মাধ্যমে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে বেতন-ভাতা হীন কর্মচারীগনকে অফিস চলাকালীন পরবর্তী সময়ে রিক্সা চালাতে কিংবা মুদি দোকান দিয়ে জীবন যাপন করতে হয়। অবসর কালীন ভাতা না পেয়ে কোন কোন কর্মচারীকে অন্যের সাহায্যে বেঁচে থাকতে হচ্ছে যাকে আমরা ভিক্ষা বৃত্তিও বলতে পারি। করোনা কালীন সময়ে কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ দেয়া সহ সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে কাজ করলেও কিন্তু তাদের নিজের ঘরে খাবার নাই অথচ ত্রাণ নিতে পারে না। এহেন পরিস্থিতিতে কর্মচারীগন পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্ব-স্বাসিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের বেতন ভাতার সিংহ ভাগ কেন্দীয় সরকারের আর্থিক অনুদান হিসেবে বরাদ্দ পায়। বাংলাদেশ সরকারও এসব প্রতিষ্ঠানের বেতন খাতে আর্থিক বরাদ্দ দিয়ে আসছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ও পৌর কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা উভয়ের কর্মচারীদের জন্য জাতীয় বাজেটে আলাদা আলাদা বেতন খাত রয়েছে। তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বেতন ভাতা খাতে বরাদ্দের বিগত ০২ (দুই) বছরের তুলনামুলক বিবরনী উপস্থাপন করছি।
প্রতিষ্ঠানের নাম স্থায়ী কর্মচারীর সংখ্যা অস্থায়ী কর্মচারীর সংখ্যা সর্বমোট বেতনের অর্থনৈতিক কোড অর্থ বছর বরাদ্দের পরিমান শতকরা হার:
১. পৌরসভা ১১,৬৭৫ ২০,৩৫৫ ৩২,০৩০ ৩৬৩১১০১ ২০১৯-২০২০ ২৫ কোটি ৪%
পৌরসভা ১১,৬৭৫ ২০,৩৫৫ ৩২,০৩০ ৩৬৩১১০১ ২০২০-২০২১ ২৫ কোটি ৪%
২. ইউনিয়ন পরিষদ ৪৫৭১ - ৪৫৭১ ৩৬৩১১০১ ২০১৯-২০২০ ১৯০ কোটি ৭৫%
ইউনিয়ন পরিষদ ৪৫৭১ - ৪৫৭১ ৩৬৩১১০১ ২০২০-২০২১ ২০৮.২০ কোটি ৭৫%
ইতিমধ্যে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জন্য যে বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে সেখানে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারীদের বেতন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও পৌর কর্মচারীদের বেতন ভাতা খাতে গত বছরের ন্যায় মাত্র ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। জাতীয় বাজেটের পরিমান হাজার হাজার কোটি টাকা বাড়লেও পৌর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে কোন বরাদ্দ বৃদ্ধি না হওয়ায় এমন বৈষম্য আচারণের তীব্র পতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যের শিকার পৌর কর্মচারীদের বেতন- ভাতার সমস্যা সমাধানের বিষয়টি সরকারের কাছে তুলে ধরে তা সমাধান কল্পে ২০১৭ সালের ২০ মে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন গঠিত হয়। অত:পর সরকার বাহাদুরের দৃষ্টি আর্কষনের জন্য পর্যায় ক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন, জেলা প্রশাসকগন, বিভাগীয় কমিশনারগন, স্থানীয় সরকার বিভাগ, অর্থ বিভাগ, আইন মন্ত্রনাল,পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিবগন ও মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গন বরাবরে বিভিন্ন সময়ে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মহোদয় বরাবরেও স্মরক লিপি প্রদান করা হয়। সর্বশেষ পৌর কর্মচারীদের বৈষম্যের অবসান এবং ইউনিয়ন পরিষদের ন্যায় পৌর কর্মচারীদের বেতনের একটি বৃহৎ অংশ কেন্দ্রীয় সরকার হতে প্রাপ্তির দাবীতে ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবে হাজার হাজার কর্মচারী রাত দিন অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। অবস্থান কালীন সময়ে ৪(চার)জন পৌর কর্মচারী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ঝড় -বৃষ্টি উপেক্ষা করে দীর্ঘ ২৩ দিন অবস্থানের পর স্থানীয় সরকার বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী উপস্থিত হয়ে তিন মাসের মধ্যে বেতন ভাতার স্থায়ী সামাধান করবেন মর্মে আশ্বস্ত করলে পৌর কর্মচারীগন নিজ নিজ অফিসে ফিরে কাজে যোগদান করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় একই বিভাগের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব বর্তমান শিক্ষা বিভাগের মাননীয় সচিব জনাব মাহাবুবুর রহমানের নেতেৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি সকল জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারগনের লিখিত মতামতের ভিত্তিতে বেতন ভাতা সমাধানের কিছু সুপারিশ মালা দাখিল করেন। সে প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের স্মারক নং-৪৬.০০.০০০০.০৬৩.৩১.০০৪.১৫.৫৫৭ তারিখ: ০৩/০৬/২০১৯ খ্রি: মূলে সংশ্লিষ্ট কমিটির সুপারিশকৃত বকেয়া ৭৯২ কোটি টাকার ৫০% হিসেবে ৩৪৬ কোটি টাকা সাহায্য মঞ্জুরী খাতে বরাদ্দ চেয়ে অর্থ বিভাগে পত্র প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে একই কমিটির সুপারিশের আলোকে স্মারক নং-.৪৬.০০.০০০০.০৬৩.৩১.০০৪.১৫.(অংশ-১)৮৩৭, তারিখ ০১/০৮/২০১৯ খ্রি: মূলে জাতীয় বাজেটে বেতন ভাতার খাত নং-৩৬৩১১০১ এ বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য পূনরায় অর্থ বিভাগে পত্র প্রেরন করেন।
কিন্তু অর্থ বিভাগ হতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগের আন্তরিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। তাছাড়া বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন এর পক্ষে থেকে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি রিট পিটিশন ২০১৮ এর ১০৬৪০ দাখিল করা হয়।
দাখিলকৃত রিট পিটিশনের আলোকে বেতন - ভাতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কল্পে মহামান্য হাইকোট ডিভিশন গত ১৫/১০/২০২০ ইং তারিখ বাংলাদেশ সংবিধানের ২০ ধারা মোতাবেক কর্মচারীদের বেতন ভাতা রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে প্রদানের বিষয়য়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ কে আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু অদ্যাবধি স্থানীয় সরকার বিভাগ রায় বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি দ্রæততম সময়ের মধ্যে মহামান্য আদালতের আদেশ প্রতি পালনের জন্য আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার বিভাগের মাননীয় মন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার বিভাগের মাননীয় মন্ত্রীর সদয় বিবেচনার জন্য আপনাদের মাধ্যমে সবিনয়ে নিন্মোক্ত ৮ দফাদাবী সমূহ পেশ করেন আব্দুল আলীম মোল্যা।
১) মহামান্য উচ্চ আদালতের আদেশ দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।
২) পৌরসভা সমূহ আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন না করা পর্যন্ত জাতীয় বাজেটে পৌর সভার কর্মচারীদের বেতন খাত নং-৩৬৩১১০১ এ আর্থিক অনুদান বৃদ্ধি করে ইউনিয়ন পরিষদের ন্যায় আসছে সংশোধীত বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা সহ প্রতি বছর এ বরাদ্দ অব্যাহত রাখতে হবে।
৩) স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন কল্পে সকল বকেয়া বেতন-ভাতা ও অবসর কালীন ভাতা স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটির প্রস্তাবিত ৭৯২ কোটি টাকা বেতন খাতে বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।
৪) তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মরহুম জিল্লুর রহমানের ঘোষনা বাস্তবায়ন কল্পে কেন্দ্রীয় ভাবে অবসরকালী ভাতা প্রদান করতে হবে।
৫) সকল পৌরসভা বেতন -ভাতা পরিশোধ না করে রাজস্ব খাত হতে দরপত্র আহবান বা অন্যান্য ব্যয় যাতে করতে না পারে সে জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের তদারকি জোরদার করতে হবে।
৬) রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য এ সংক্রান্ত কমিটিতে জনপ্রতিনিধির পরিবর্তে কর্মকর্তাদের পদায়ন করতে হবে।
৭) স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয় -ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে সকল পৌরসভাকে জবাব দিহিতার আওতায় আনার ব্যবস্থা করে তদারকি জোরদার করতে হবে।
৮) সকল প্রকার নিয়োগে স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্টতা বৃদ্ধি করা। যাতে কর্মকর্তাগন অনৈতিক কার্যকলাপে বাধা প্রদান করলে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য কর্মকর্তাদের যোগদান গ্রহন ও অবমুক্তির বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
বৈষম্যের শিকার পৌরসভার কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বেতন -ভাতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কল্পে মহামান্য আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের সংশোধীত বাজেটে বেতন ভাতা খাতে ইউনিয়ন পরিষদের আদলে বরাদ্দ বৃদ্ধি সহ অবিলম্বে ৮ দফা দাবী বাস্তবায়ন করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আরও বলেনঈদ-উল ফিতরের পূর্বে প্রায় ৭০ % পৌরসভায় ঈদ বোনাস সহ বেতন ও আন্যান্য ভাতা না হওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষনা দেন ঈদুল আযহার পূর্বে শতভাগ বকেয়া বেতন-ভাতা সহ অবসর-ভাতা পরিশোধ না করলে আগামী ২৫ জুলাই থেকে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাগুলোতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি দিয়ে স্বস্ব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এসোসিশেনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, ঢাকা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ম ই তুষার, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সরকার দলিল উদ্দিন, সহ-সভপতি আখতার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুমন দত্ত, শফিকুল ইসলাম আগুন, রোকসানা পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী জিসান বাবু, অর্থ সম্পাদক মজিবুর রহমান, মহিলা সম্পাদক সাজেদা আক্তার, চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম, ময়মনসিংহ বিভাগের সভাপতি কামরুল হক, সেক্রেটারী ইসহাক, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টাবৃন্দ সহ কেন্দ্রীয়, বিভাগ, জেলা ও ইউনিট প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সোনালীনিউজ/এসআই/এমএএইচ