ঢাকা : দীর্ঘ বিরতির পর আজ শনিবার থেকে বাংলাদেশে চীন সরকারের উপহার দেওয়া ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) সকাল থেকে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়।
এর আগে শুক্রবার (১৮ জুন) অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শনিবার থেকে সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সদস্যরা, বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মীসহ মেডিকেল, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা এ টিকা পাবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (এমএমসি অ্যান্ড এ এইচ) ও সদস্য সচিব (করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটি) ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রদানের লক্ষ্যে টিকার মজুতসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
আরও জানানো হয়, করোনা ভ্যাকসিনেশনের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে ইতোমধ্যে যেসব ব্যক্তি নিবন্ধন করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও টিকা পাননি, তাদেরকে টিকা দেয়া হবে।
১০ ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের চীনের সিনোফার্মের টিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা হলেন-
টিকার জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে ইতোমধ্যে যারা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও টিকা পাননি, তাদের এ টিকা দেওয়া হবে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারী স্বাস্থ্যকর্মী।
পুলিশ সদস্যরা যারা আগে টিকা নেননি। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মী, যাদের বিএমইটি নিবন্ধন কিংবা কার্ড আছে। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীরা, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারি ম্যাটস ও সরকারি আইএইচটি’র শিক্ষার্থীরা। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। বিডার আওতাধীন ও অন্যান্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্পে (পদ্মা সেতু প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, এক্সপ্রেস হাইওয়ে প্রকল্প, রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র) সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। সারাদেশে কোভিড-১৯ মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত ওয়ার্ড/পৌরসভার কর্মীরা। বাংলাদেশে বসবাসরত চীনা নাগরিকরা পাবেন সিনোফার্মের এ টিকা।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ