ঢাকা : করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণের বিস্তার রোধে সাত দিনের চলমান কঠোর বিধিনিষেধের শুক্রবার দ্বিতীয় দিন চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি টানা বৃষ্টিতে সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কগুলো ছিল ফাঁকা।
আগের দিনের তুলনায় সকালে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি একেবারেই কম চোখে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও তেমন তৎপর হতে দেয়নি বৃষ্টি।
রাজধানীর প্রায় সব এলাকার বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে প্রধান সড়কের তুলনায় অলিগলিতে মানুষের চলাফেরা কিছুটা বেশি ছিল। তবে সেটাও ছিল আগের দিনের চেয়ে কম।
অবশ্য সকালের দিকে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের যানবাহন যাতায়াত করতে দেখা গেছে। পণ্যবাহী কিছু যানও চলেছে।
বিনা প্রয়োজনে কেউ চলাচল করলে বাড়ি ফিরে যাওয়ারও আনুরোধ করা হচ্ছে। সড়কে জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চোকপোস্টে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল থামিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রামে সকাল থেকে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন সড়ক ও মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তারা লোক চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও দেখা গেছে।
সিলেট, খুলনা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলার সড়ক মহাসড়ক ছিল একেবারেই ফাঁকা। তবে কোনো কোনো পাড়া-মহল্লায় মানুষের জটলা দেখা গেছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছে সব জরুরি সেবাসহ শিল্পকারখানা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। লকডাউনের প্রথম দিন ৭৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয় আইন অমান্য করায়।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) যারা বিনা প্রয়োজনে বের হয়েছেন, তাদের অনেকই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। গুনতে হয়েছে জরিমানা। পরদিন তার একটা প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশের করোনা মহামারী পরিস্থিতি প্রকট হওয়ায় ২১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে নতুন লকডাউন। এবার সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সদস্যদের। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোনালীনিউজ/এমটিআই