ঢাকা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডের সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকান্ডে মারা যাওয়া ৪৮ জনের মধ্যে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয় সোমবার (২ আগস্ট)। স্বজনদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা শেষে তাদের মধ্যে ২৪ জনের লাশ বুধবার (৪ আগস্ট) বুঝিয়ে দেয়া হবে।
প্রিয়জনের লাশ পেতে তাই সকাল থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) সামনে অপেক্ষা করছেন নিহতের স্বজনরা। তারা সিআইডি পুলিশের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আসার অপেক্ষা করছেন। বেলা সাড়ে ১২ টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে ঢামেক মর্গের মরচুয়ারি সহকারী সেকান্দার মিয়া জানান, ‘২৪টি লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে শুনেছি। নিহতের স্বজনরাও এসেছেন। কিন্তু ঠিক কখন হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না।’
গত ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই কারখানা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে শ্রমিকরা ভবনের ছাদে জড়ো হন। ছাদসহ বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে। এতে ওই রাতেই তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, আহতও হন অসংখ্য শ্রমিক।
৯ জুলাই আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে কারখানা ভবনের চতুর্থ তলা থেকে ৪৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় লাশ শনাক্তের কাজ শুরু করে সিআইডি। ঢামেক মর্গের সামনে অস্থায়ী বুথ খুলে ৪৮ লাশের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। লাশের অবস্থা খারাপ থাকায় হাড় ও দাঁত সংগ্রহ করে ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হয়। আর লাশের দাবিদার স্বজনদের রক্ত এবং বাক্কাল সোয়াব নেয়া হয়।
সোনালীনিউজ/এসএন