দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু

গণটিকা কেন্দ্রে মানুষের ভিড়

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১, ১১:৪৬ পিএম

ঢাকা : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে এ টিকাদান শুরু হয়।  সোনালীনিউজ-এর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় ৯টি কেন্দ্রসহ জেলায় ৮৩টি কেন্দ্রে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে প্রতিটি কেন্দ্রে ৬ শত মানুষ টিকা নিতে পারবেন।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রেই টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। টিকা নিতে আসা মানুষেরা জানান, সরকারের গণহারে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্তে তারা খুশি হয়েছেন। এতে দেশের অধিকাংশ মানুষ টিকা নিতে পারবে। এবং এই টিকা কার্যক্রমে দেশের প্রতিটি মানুষেরই টিকা নেয়া উচিত। এতে দেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়েনে মোট ৩২৬টি কেন্দ্রে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মহানগরে ১ম দিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কার্যক্রম চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ১৯০টি ইউনিয়নে টিকা দিতে সকাল থেকে কেন্দ্রে ভিড় করেছেন ২৫ বছর ও তদূর্ধ্বরা।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় মডার্নার টিকা এবং উপজেলায় সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া পৌরসভা এলাকার বসবাসরতরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।

অন্যদিকে সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪১ ওয়ার্ডের ১২৩টি বুথে টিকাদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি করে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আখতার চৌধুরী বলেন, প্রতি কেন্দ্রে ৩০০ জন করে টিকা নিতে পারবেন। ৩টি বুথে একদিনে ৯০০ জন টিকা পাবেন। এর বাইরে স্থায়ী ১১টি কেন্দ্রে টিকাদানও অব্যাহত থাকবে।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রাম সব উপজেলায় মোট ইউনিয়ন রয়েছে ১৯০টি। এছাড়া ১৩ পৌরসভায় রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় একটি করে টিকাদান কেন্দ্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে ৬০০জন টিকা নিতে পারবেন। টিকাদানে প্রতিটি বুথে একটি করে টিম কাজ করছে। প্রতি টিমে ২ জন ভ্যাক্সিনেটর (টিকাদান কর্মী) ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত আছেন।

রাজবাড়ী: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯ টা থেকে রাজবাড়ী জেলার ৪২ টি ইউনিয়ন ও সদর পৌরসভা সহ ৫২ টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান শুরু করা হয়েছে।

একদিনে এই কেন্দ্র গুলোতে ২৭ হাজার ২ শত মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি টিকা প্রদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলিয়ে ৫২ টি কেন্দ্রে করোনা টিকা প্রদান করা হবে।

রয়েছে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম।সকাল ৯ টা থেকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে এবং টিকা দেওয়া শেষ হবে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত। একটি ইউনিয়নে ৬ শত এবং পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড ও পৌর সভা কেন্দ্র সহ প্রতিটি কেন্দ্রে ২ শত করে ২ হাজার মানুষকে দেওয়া হবে এ টিকা। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এক যোগে এসব মানুষ করোনা মহামারির টিকা গ্রহন করতে পারছেন। সকালে সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ব্রাম্মনদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রামীণ এসব সাধারণ মানুষদের টিকা দেওয়া শুরু করা হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে এসব মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন।

ইউনিয়ন পর্যায়ে এসব মানুষদের টিকা প্রদান শুরু করায় তারা আনন্দিত। গ্রামীণ মানুষের কথা চিন্তা করে টিকা প্রদান শুরু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এই কার্যক্রম ধরে রাখতে সরকারকে অনুরোধ জানান এসব সাধারণ মানুষ।

রাজবাড়ী সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন জানান, আজ প্রতিটি ইউনিয়নে ও সদর পৌরসভায় প্রান্তিক সাধারণ মানুষদেও করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। ৪২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার মোট ২৭ হাজার২ শত মানুষকে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। কারো কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে ভ্রাম্যমাণ টিমের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

মৌলভীবাজার: সারাদেশের দেশের মতো মৌলভীবাজারেও চলছে কোভিড-১৯ গণ টিকাদান ক্যাম্পেইন। সহজে, অল্পসময়ে এবং বাড়ির পাশে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিতে পেরে খুশি সাধারণ মানুষেরা।মৌলভীবাজার পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের টিকাদান কেন্দ্র শাহমোস্তফা কলেজে ‘জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টায় পৌরমেয়র ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান ও সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ। কিভাবে টিকাদানের রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়, কোথায় টিকা দেয়া যাবে তা অনেকেই জানতেন না। কিন্তু, বর্তমানে জেলা ও উপজেলা সদর পাড়ি দিয়ে ইউনিয়ন ও পৌরএলাকার ওয়ার্ড ভিত্তিক গণ টিকাদান কমসূচি পালন হওয়াতে সাধারণ মানুষজনেরা খুশি।

কলাপাড়া (পটুয়াখালী): সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের গণটিকাদান কর্মসূচি।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে জেলার ১২ টি ইউনিয়ন, ২টি পৌরসভার ১টি করে কেন্দ্রে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ও পুরুষের আলাদা আলাদা ৩ টি বুথের মাধ্যমে ৬ শত জনকে এ টিকা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য তিনজন পরির্দশক, ছয়জন করে স্বাস্থ্যকর্মী ও নয়জন স্বেচ্ছোসেবী কাজ করছেন।

প্রাথমিক পর্যায়ে আজ একদিনের জন্য উপজেলার ৮ হাজার ৪ শত মানুষকে এ টিকা প্রদান করা হচ্ছে। কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের মহিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কুয়কাটা পৌরসভার তুলাতলী কেন্দ্র, নীলগঞ্জ ইউনিয়ন কেন্দ্র, কলাপাড়া পৌরসভা টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিএম সরফরাজ, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়রম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক, কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীন সীমাসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মেয়রসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ): গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় করোনা টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) উপজেলার কুশলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন চত্ত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, পৌর মেয়র হাজী মো. কামাল হোসেন শেখ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য, ওসি মো. আমিনুল ইসলাম, কুশলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রাকিবুল হাসান শুভ, কুশলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলীপ কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক জামান শেখ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, গতকাল উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৩৬টি বুথে ৭ হাজার ২শত ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়।

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনায় উপজেলার পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে গণটিকা দান কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন দিনাজপুর- ৫ আসনের (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে এলুয়াড়ী ইউনিয়নের উদ্যোগে পানিকাটা দাখিল মাদ্রাসায় আয়োজিত টিকাদান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নবিউল ইসলাম।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন, ফুলবাড়ী সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী প্রমুখ।এদিকে ফুলবাড়ী পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভার ১, ২ এবং ৩ নং ওয়ার্ডে করোনার টিকা দান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মো. মাহমুদ আলম লিটন। সকাল ৯টায় ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌর এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. লুৎফুল হুদা চৌধুরী লিমন, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারান দত্তসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১১০ টি কেন্দ্র এই কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশনভূক্ত ২শ জনকে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অত্যাধিক টিকা গ্রহিতার সমাগম ঘটায় প্রায় প্রতি কেন্দ্রেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

এ সময় অনেকেই সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না নিয়েই ফিরতে হয়েছে। এদিকে টিকাদান কর্মসূচির বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজনসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

জেলায় এই কার্যক্রমের আওতায় ৬১ হাজার ব্যক্তিকে টিকা দেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান জানান, টিকা গ্রহণে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ গড়ে উঠেছে। আমরা সকলের সমন্বয়ে করোনার টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে কাজ করছি।

পত্বীতলা (নওগাঁ): সারা দেশের ন্যায় নওগাঁর পত্বীতলা উপজেলায় টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে নজিপুর পৌরসভার টিকাদান কেন্দ্র সিদ্দিকিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং নওগাঁ-০২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।

এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের টিকাদান কেন্দ্রগুলোও সরেজমিনে ঘুরে দেখেন তিনি। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সানজিদা সুলতানা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গাফফার. পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ্, আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেবাশীষ রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুল আলম শাহ্, নজিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান রেজা চৌধুরী প্রমুখ। এ কার্যক্রমের প্রথম ধাপে উপজেলাতে ২৫ বছরের অধিক বয়সীদের করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। গতকাল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ১,২,৩,নং ওয়ার্ডে ২০০ জন করে মোট ৬০০ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। আর পৌরসভার ১,২,৩নং ওয়ার্ডের ১০০ করে ৩০০ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।

হিলি: দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বাংলাহিলি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে হিলি হাকিমপুর পৌর সভার নারী-পুরুষদের মাঝে সরকারি বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর এ আলম ,পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্তসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলীকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জানান, কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে ১২শ জনকে টিকা প্রদান করা হবে। এছাড়াও উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর): সারা দেশের সাথে একযোগে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ইউনিয়ন পর্যায় করোনার গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলার ২ টি ইউনিয়নের পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদ ও সাবেক বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. এম. মতিউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমান টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাঘা, বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন, পাড়ের হাট ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার বাবুল উপস্থিত ছিলেন।

টিকাদান কার্যক্রমের প্রথম দিনে এক একটি ইউনিয়নে ৩০০ জন করে দুইটি ইউনিয়নে ৬০০ জনের লক্ষমাত্রা নিয়ে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে টিকা প্রদান করেন। টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য বিভাগকে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইন শৃংখলা বাহিনী ও আওয়ামীলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও সহযোগী সংগঠন সহোযোগিতা করেন। সকাল থেকে শতঃস্ফূর্ত ভাবে ২৫ বছর তদূর্ধ্ব নারী পুরুষরা কেন্দ্রে এসে টিকা গ্রহন করেন। দুটি কেন্দ্রে শত ভাগ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবমূখর পরিবেশে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার আয়োজনে শনিবার (৭ আগস্ট) পৌর শহরের হাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান। কেন্দ্রগুলিতে টিকাগ্রহনকারী ব্যক্তিদের উপচে পরা ভীড় লক্ষ্য করা যায়।

ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজার রহমান সরকার, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেওয়ান মোর্শেদ কামাল, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: ফারুক হোসেন, পৌরসভার সচিব রাশেদুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর আতাউর রহমান প্রমুখ।

সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, সারা দেশের ন্যয় ঠাকুরগাঁও জেলাতেও অত্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শান্তিপুর্নভাবে টিকাদান কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। আজ জেলায় মোট ৩৭ হাজার ৮শ জনকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। জেলার ৫৩টি ইউনিয়নে ৫৩টি ও পৌরসভার ৩০টি সহ মোট ৮৩টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলবে।

নওগাঁ: সারাদেশের ন্যায় নওগাঁতেও শুরু হয়েছে গণটিকাদান কার্যক্রম। শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে জেলার ১১টি উপজেলার ৯৯টি ইউনিয়নে ও ৩টি পৌরসভায় মোট ১১৩টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলার ৯৯টি ইউনিয়ন, নওগাঁ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড, ধামইরহাট পৌরসভার ৩টি কেন্দ্র ও নজিপুর পৌরসভায় দুইটি কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৭০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী মাধ্যমে এই কর্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মাগুরা: সারা দেশের সাথে মাগুরাতেও শনিবার (৭ আগস্ট) স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সিনোফার্মের সিনেভ্যাস্কের ১ম ডোজের গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলার ৩৬ টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৩ টি করে ১০৮ টি বুথ ও মাগুরা পৌরসভায় ৯ টি ওয়ার্ডে ৯ টি বুথসহ মোট ১১৭ টি বুথে সকাল ৯ টা থেকে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এসব কেন্দ্রে টিকা প্রদান করছে। সকাল থেকে স্বেচ্ছায় নারী-পুরুষ একযোগে এসব কেন্দ্রে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা গ্রহন করছেন। টিকা গ্রহনে স্বতস্ফুর্ততার পাশাপাশি টিকা নিতে পেরে খুব খুশি টিকা গ্রহীতরা।

এছাড়া মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের নাসিং ইনস্টিটিউটসহ দুটি বুথে ২য় ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান, ৪ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বিভিন্ন টিকা দান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন সাধারন মানুষ। জেলার ১৪৬টি ইউনিয়ন ১টি সিটি কর্পোরেশন ও ২টি পৌরসভার ৫৪৩ টি বুথে সকাল থেকে একযোগে এই টিকা কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়াও জেলার স্থায়ী ১৬ টি সেন্টারের ৪৬ টি বুথেও টিকা কার্যক্রম চলমান আছে।

উখিয়া: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় সারাদেশের ন্যায় করোনার (কোভিড-১৯) টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে এ কর্মসূচি একযোগে শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নারী-পুরুষ উভয় করোনা টিকা গ্রহণ করছে। তবে পুরুষের সংখ্যা বেশি মনে হয়েছে। টিকা নিতে তাঁরা দীর্ঘ লাইন ধরেছে।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, প্রতি ওয়ার্ড থেকে ২০০ জন করে ফ্রি কোভিড-১৯ এর টিকা দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রঞ্জন বড়ুয়া রাজন জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে টিকার আওতায় আনতে ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে গণটিকা কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। ধাপেধাপে ৫টি ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ডের প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে।

বরিশাল: সারাদেশের ন্যায় বরিশালে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের করোনা ভাইরাসের গণটিকা দান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বরিশাল জেলা ও মহানগরীর ১৪১টি কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে এই টিকা। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিটি কেন্দ্রে টিকায় আগ্রহীদের ভিড় দেখা গেছে। টিকা কেন্দ্রে যাওয়া প্রত্যেককে নিবন্ধন করে টিকা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ৮৭টি ইউনিয়নের ৮৭টি কেন্দ্রের ২৬১টি বুথ এবং সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের ৫৪ কেন্দ্রের ৬৪টি বুথে শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টায় শুরু হয় টিকা ক্যাম্পেইন।

টিকা কেন্দ্রের সিনিয়র স্টাফ নার্স মনিরা আক্তার সাথী বলেন, যারা আগে এসএমএস পেয়েছেন তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে। আর যারা রেজিস্ট্রেশন করেননি তারাও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে আসলে টিকা দেয়া হচ্ছে তাদের।

নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। এসময় তিনি বলেন, নগরীরবাসীকে টিকার আওতায় আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে সিটি করপোরেশন।

নরসিংদী: আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসকারীদের টিকাদানের মাধ্যমে নরসিংদীর পলাশে উদ্বোধন করা হয় গণহারে টিকাদানের কার্যক্রম। করোনা মোকাবেলায় সরকারী সিদ্ধান্তে সারাদেশে একযোগে করোনা ভ্যাক্সিন প্রদানের লক্ষ্যে নরসিংদীর পলাশে ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

এলক্ষে শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার জিনারদী পরিষদ প্রাঙ্গনে ইউনিয়নের সরকারী আশ্রায়নে বসবাসকারীদের টিকা দানের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আফসানা চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন।

এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ছাদিকুর রহমান আকন্দ, এসিল্যান্ড সিলভিয়া স্নিগ্ধা, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম গাজীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, সিভিল সার্জন ডা: মো: নুরুল ইসরাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফারুক আহমেদ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার শ্যামল চন্দ্র বসাক, ঘোড়াশাল পৌর মেয়র শরীফুল হক পলাশের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ঘোড়াশাল পৌরসভার টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

সুনামগঞ্জ: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে সুনামগঞ্জে গণটিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ শহরের বুলচাঁন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে গণটিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম, সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত প্রমুখ।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১টি উপজেলা ও ৪টি পৌর সভায় একশ গণটিকাদান কেন্দ্রে একযোগে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এসব টিকাদান কেন্দ্রে প্রতিদিন ২ শত লোককে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলাসদরসহ ১১টি উপজেলায় করোনার টিকাদানে স্থানীয় ২২টি কেন্দ্র চালু রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই