ঢাকা : নির্বাচন কমিশন-ইসি ১৬ বছর বয়সীদের জাতীয় পরিচয়পত্র-এনআইডি দিতে চাচ্ছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির ৮৪তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা সভাপতিত্ব করবেন।
বৈঠক সূচিতে ২০০৬ সাল ২ জানুয়ারির আগে জন্মগ্রহণ করা বাংলাদেশিদের তথ্য সংগ্রহকরণের বিষয়টি রয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, সরকারের করোনা টিকাদান কর্মসূচি সহজ করতে ইসি নাগরিকদের এনআইডির আওতায় আনার কাজটি এগিয়ে রাখতে চায়। এক্ষেত্রে ২ বছর কমিয়ে ১৬ বছর বয়সীদের এনআইডি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সরকার ১৮ বছর থেকে তার উপরে শিক্ষার্থীসহ সকল নাগরিককে টিকাদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টিকা গ্রহণের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এনআইডি বাধ্যতামূলক।
কমিশন মনে করছে সরকার পর্যায়ক্রমে সকল নাগরিকগণকে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসবে, সেক্ষেত্রে এনআইডি না থাকার কারণে ১৮ বছরের কম বয়স্ক নাগরিকদের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। যে কারণে ভবিষ্যতে নাগরিকদের যাতে টিকা নিতে বেগ না হয় তার কারণে নির্বাচন কমিশন ১৬ বছর বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ করে এনআইডি দেওয়ার চিন্তা করছে। নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে আরও কম বয়সীদের এনআইডি দেওয়ার পথে এগুবেও বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিলেও জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০১০ অনুযায়ী যে কোনও বয়সী নাগরিকদের পরিচয় পত্র দেওয়ার বিধান রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ ২০১৯ সালে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছিল। ওই সময় ভোটার হওয়ার উপযোগী (১৮ বছর) নাগরিকের পাশাপাশি ১৬ বছর বয়সীদের (১ জানুয়ারি ২০০৪ বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী) আগাম তথ্যও সংগ্রহ করেছিল ইসি। ২০১৯ সালে সংগৃহীত তথ্য থেকে ২০২০ সালে ৬৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮২৫ জন এবং ২০২১ সালে ১৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৬ জন নাগরিকের তথ্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যারা ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্র পেয়েছেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই