ঢাকা : গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি কমেছে ৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে কমছে ৫ সেন্টিমিটার।
এছাড়া উত্তরবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলায় নদীর পানি কিছুটা কমলেও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। এর ফলে খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ভুগছে সাধারণ মানুষ।
এরমধ্যে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও রোববার (৫ আগস্ট) সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েটে ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
অন্যদিকে জেলার শেষ সীমানা শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। সেখানে ১২ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার কমে সকালে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। টানা ২২ দিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পরে শনিবার সন্ধ্যা থেকে পানি কমতে শুরু করলেও এখনও সবগুলো পয়েন্টেই বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কোনো উন্নতি হয়নি।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি ও আবাদি জমি। নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা হয় পড়েছে চৌহালী ,কাজিপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার নদীতীরের মানুষরা।
২২ দিনে কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার কমপক্ষ ৪০টি ইউনিয়নের এক লাখ বেশি মানুষ পানি বন্দী হয়ে নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জ্বালানির অভাবে রান্না করা খাবার, শিশু খাদ্য, বিশুদ্ধ পানির সংকট দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে তাদের জীবন। পানিবাহিত নানা রোগ ও সাপ পাকামাকড়ের ভয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বানবাসি মানুষদের জীবন।
এছাড়া নিম্নাঞ্চলের ৪ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। গোচারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে জামালপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জামালপুরের নদ-নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে জেলার বন্যাপীড়িত অঞ্চলে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
সোনালীনিউজ/এমটিআই