নাটোর : জেলা যুবলীগের সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়ার বিরুদ্ধে নাটোর সদর হাসপাতালের প্রায় চার কোটি টাকার টেন্ডার শিডিউল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপনের কাছ থেকে শিডিউল ছিনিয়ে নেন তিনি। এ সময় স্বপনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বরও বগুড়ার আলিয়া কর্পোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিডিউল ক্রয় করে বের হওয়ার সময় জেলা যুবলীগের সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া তার শিডিউল ছিনিয়ে নেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতালের টেন্ডারের শিডিউল ক্রয় করেন নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন। শিডিউল ক্রয় করে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের ফটকের সামনে জেলা যুবলীগের সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া শিডিউল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্বপন শিডিউল না দিলে এহিয়ার সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
পরে যুবলীগ সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া শিডিউল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়।
নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতালের ছয়টি গ্রুপের দুটি কাজের টেন্ডার শিডিউল ক্রয় করি। খবর পেয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া দলবল নিয়ে আমাকে ঘিরে ধরে। এ সময় তিনি বলেন, আমি ছাড়া কেউ টেন্ডার জমা দেবে না। আমাকে শিডিউল উত্তোলন এবং জমা দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু আমি শিডিউল ক্রয় করে বের হওয়ার সময় এহিয়া চৌধুরী তা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
তবে নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাদাদ জানান, কেউ টেন্ডার সংক্রান্ত অভিযোগ থানায় দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাটোর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি নাটোর সদর হাসপাতালের ওষুধ, খাবার, আসবাবপত্রসহ মোট ছয়টি গ্রুপে প্রায় চার কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত মোট ১৮টি শিডিউল বিক্রি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শিডিউল ক্রয় এবং ৩ অক্টোবর জমা দেওয়ার শেষ দিন।
তবে সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার রায় বলেন, এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। তাছাড়া টেন্ডারের শিডিউল ক্রয় করে বাহিরে কোনো ঘটনা ঘটলে এতে আমাদের করার কিছু নেই।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ