ঢাকা : ৯ম পে-স্কেল ও ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ৫০% মহার্ঘ ভাতাসহ ৭ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর।
চট্টগ্রামের সমাবেশে যোগ দিয়ে আন্দোলন সফল করার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
আরও পড়ুন : প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ও পাঠ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া সরকারি কর্মচারীগণ সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে, বর্তমান বাজারদর এবং বেতন যেন কোনভাবেই খাপ খাচ্ছে না। ধার দেনায় ডুবতে হচ্ছে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের।
৭ দফা দাবি সমূহ
১) জাতীয় স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনপূর্বক বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ১৯৭৩ সনের ১০ ধাপে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য ১:৫ হতে হবে। পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা পুনঃবহাল করতে হবে।
আরও পড়ুন : সরকারি চাকরিজীবীদের অসন্তোষ
২) এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি চালুসহ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাহিরের সরকারী কর্মচারীদের পদ ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। ব্লক পোস্টধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
৩) আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে হস্থান্তর করতে হবে। বিভিন্ন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন খাতে কর্মরত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ডাক বিভাগের প্রার্থী প্রথা চালুসহ মাস্টার রোল ও অন্যান্য দপ্তররে কর্মরত মাস্টার রোল, কন্টিজেন্স ও ওয়ার্কচার্জ কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।
আরও পড়ুন : সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু ও অক্ষমতাজনিত আর্থিক অনুদান স্পষ্ট করল সরকার
৪) সরকারি কর্মচারিদের পূর্বের ন্যায় ৩টি টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনঃবহাল করতে হবে। জীবন যাত্রার মান সমুন্নত রাখার স্বার্থে ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০% থেকে ১০০% ও গ্রাইচ্যুইটির হার ১ টাকায় ২৩০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকায় উন্নীত করণ করতে হবে।
৫) ৯ম পে-স্কেল প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে ৫০% মহার্ঘ ভাতা অবিলম্বে দিতে হবে।
আরও পড়ুন : প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য জরুরী নির্দেশনা দিল শিক্ষা অধিদফতর
৬) প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের ন্যায় ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারিদের বিনা সুদে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের যোগদানের দিন থেকে সিনিয়রিটি পাওয়ার জন্য করা রিট মামলার মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত আদেশ অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
৭) চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষার শিক্ষকদের ন্যায় অন্যান্য সকল দপ্তরে পোষ্য কোটা চালু করতে হবে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই