এসএমএস ছাড়াই মিলছে টিকা

কেন্দ্রে বেড়েছে ভিড়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২, ০২:১২ পিএম

ঢাকা : এসএমএস ছাড়াই মিলছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ। নিবন্ধনের সময় উল্লেখিত কেন্দ্রে গেলেই মিলছে টিকা। এ কারণে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে ভিড়।

 বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একাধিক টিকাদান কেন্দ্রে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে টিকাদান চলছে। প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে যারা নিবন্ধন করে এসএমএসের জন্য টিকা নিতে পারেনি, তাদের টিকা দেয়া হবে। পাশাপাশি অন্যদের টিকাদান কার্যক্রমও চলবে।

তারা আরো জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি কেন্দ্রকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন আর এসএমএসের জন্য টিকা নেওয়া আটকে থাকবে না।

শ্যামলীর ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ নিতে এসেছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। ওই কেন্দ্রে প্রথম ডোজ নিতে আসা ব্যক্তিদের ভিড় অনেক বেশি।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেয়ে এসএমএস ছাড়া টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই কার্যক্রম চলবে আরও ৯ দিন। এরপর ২৬ তারিখ যারা টিকার জন্য নিবন্ধন করেননি, তাদেরও টিকা দেওয়া হবে। ওইদিন এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এসএমএস ছাড়া টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয় সকাল ৯টার দিকে। হাসপাতালটিতে ২০০ জনের বেশি মানুষ এসএমএস না পেয়েই টিকা নিয়েছেন।

টিকাগ্রহীতাকে টিকাদান পরবর্তী কক্ষ বা পোস্ট ভ্যাকসিনেশন রুমে নেওয়া হয়। সেখানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টিকাগ্রহীতাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

বিএসএমএমইউতে টিকা নেওয়া বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আলী ইমাম বলেন, ‘দুই মাসে আগে টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলাম, তবে এসএমএস জটিলতায় টিকা নিতে পারিনি।

‘বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেয়ে টিকা নিতে চলে এসেছি। টিকা নেওয়ার সারিতে দাঁড়ানোর পর থেকেই নিজের মধ্যে উত্তেজনা কাজ করছিল। টিকা পেয়ে অনেক আনন্দ লাগছে।’

একই হাসপাতালে টিকা নেওয়া মধ্যবয়সী নারী আসিয়া বেগম বলেন, ‘একটি দোকান থেকে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলাম, তবে এসএমএস না আসায় টিকা নিতে পারি নাই।

‘আজ টিকা নিতে এসএমএসের দরকার পড়ে নাই। লাইনে দাঁড়ায়া টিকা নিছি।’

টিকাকেন্দ্রের সমন্বয়ক চিকিৎসক দাউদ আলী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল থেকে টিকাদান চলছে। এখন এসএমএসের জন্য টিকা নেওয়া আটকাবে না, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ টিকাপ্রত্যাশীদের ভিড় একটু বেশি।

দেশে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান শুরু হয়। দেশব্যাপী সুষ্ঠুভাবে করোনার টিকা বিতরণ ও প্রয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি জাতীয় পরিকল্পনা করেছে।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশের ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ১০ কোটির বেশি মানুষ টিকার আওতায় চলে এসেছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাকি জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা হবে।

২৬ ফেব্রুয়ারির পর টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ওইদিন বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলায় জেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই