ঢাকা : মৃত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে আর্থিক অনুদানের বিল পাসের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকদের পরিবর্তে পুনরায় পুলিশ সুপারদের দায়িত্ব দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর মিরপুর-১৪তে পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি) কনভেনশন হলে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, জুনিয়র কোনো পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর পর পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পেত পরিবার। তখন বিল পাস করত জেলা পুলিশ সুপার। সরকার ২০২০ সালে আট লাখ করার পর সেই বিল পাস করে জেলা প্রশাসকরা। এতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যায় ৩৭৭ পুলিশ সদস্য। এরমধ্যে মাত্র ৭৯ পরিবার টাকা পেয়েছে। বাকি সব পেন্ডিং।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন।
আইজিপি স্বরাষ্ট্র সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জেলা প্রশাসকরা অনেক ব্যস্ত থাকেন। এই দায়িত্ব যদি আবারো পুলিশ সুপারদের কাছে যায় তাহলে এই সমন্বয়হীনতা থাকবে না। মৃত পুলিশ সদস্যদের অসহায় পরিবারগুলোর অনেক উপকার হবে।
আইজিপি বলেন, শান্তিকালীন সময়ে যারা দুষ্কৃতিকারী, জনগণ, সমাজ, রাষ্ট্র ধ্বংসের জন্য লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশই ক্রমাগত যুদ্ধে লিপ্ত থাকে। এই যুদ্ধ সন্ত্রাসী, অপরাধী, জঙ্গি, গ্যাং, চোর-ডাকাতদের বিরুদ্ধে। যারা শান্তিভঙ্গ কিংবা বিনষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে। যুদ্ধ থাকলে মৃত্যু অনিবার্য।
আমরা শান্তিকালীন সময়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছি দেশ, জনগণ, সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা, নিরাপত্তার জন্য। এজন্য আত্মত্যাগ করছে পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ লাইন ডিউটিতে প্রাণ হারায়। প্রতিবছর শত শত সহকর্মীকে হারাই কর্তব্যরত অবস্থায়। ৩৪৬ জন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি গত বছর। এরমধ্যে শুরু করোনার দুই বছরে আমরা ১০৬ জন পুলিশ সদস্যকে হারিয়েছি।
অনুষ্ঠানে ২০২১ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী ১৩৭ পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গকে স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করা হয়।
সোনালীনিউজ/এমটিআই