ঢাকা: দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রাত পোহালেই। শনিবার (২৫ জুন) জাতির সাহস আর সামর্থ্যের প্রতীক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিদের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে কিছু নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউমার্কেট এলাকা থেকে আগত অতিথিদের চলাচলে রুট
ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন চাঁনখারপুল (নিমতলী) মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের বাম লেন-ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।
২. জিরো পয়েন্ট (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ গুলিস্তান) থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের রুট
জিরো পয়েন্ট-গুলিস্তান আহাদ বক্স সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের বাম লেন-ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।
৩. মতিঝিল শাপলা চত্বর ও ইত্তেফাক থেকে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের গমনাগমন রুট
মতিঝিল শাপলা চত্বর-ইত্তেফাক ক্রসিং হাটখোলা মোড় সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের বাম লেন-ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।
৪. কমলাপুর, টিটিপাড়া থেকে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের চলাচলে রুট
কমলাপুর, টিটিপাড়া ক্রসিং-গোলাপবাগ মোড়-ইনগেট সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখ-যাত্রাবাড়ী অংশের বাম লেন-ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা-ধোলাইপাড় ক্রসিং-জুরাইন ফ্লাইওভার-বুড়িগঙ্গা সেতু-মাওয়া এক্সপ্রেস।
অনুষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে ঢাকা মহানগরী থেকে যাত্রা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার জন্য অতিথিদের কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমন্ত্রণপত্রে। অতিথিদের আমন্ত্রণপত্র সঙ্গে আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং এটি হস্তান্তরযোগ্য নয় বলেও জানানো হয়েছে।
আমন্ত্রণপত্রে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই সবাইকে অনুষ্ঠানস্থলে আসার জন্য বলা হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে রিপোর্ট সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে অতিথিদের। চাবি, চাবির রিং, কলম, মোবাইল, ছাতা, হাতব্যাগ, ক্যামেরা ও ইলেক্ট্রনিক্স বস্তু না নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে মাস্ক পরাসহ কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট সব প্রটোকল অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে দেওয়া স্টিকারটি গাড়ির সামনের কাচের বাম পাশে দৃশ্যমান স্থানে লাগানোর জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া শনিবার সকাল ৯টায় অতিথিদের অনুষ্ঠানস্থলে আসন গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে আমন্ত্রণপত্রে। এরপর সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তের অনুষ্ঠানস্থলে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর এক মিনিট পরই প্রদর্শন হবে প্রামাণ্য চিত্র। এরপর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সকাল ১০টা পাঁচ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য দেবেন।
পদ্মা সেতুর থিম সং দেখানো হবে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সোয়া ১০টায় বক্তব্য দেবেন। বক্তব্য শেষে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন তিনি। পরে সেখানে মোনাজাত হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা প্রান্তে এসে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন।
ধারণা করা হচ্ছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ৮-১০ লাখ লোকের সমাগম হবে।
সোনালীনিউজ/আইএ