ঢাকা : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শনাক্তের হার কমে ১০-এর নিচে নেমেছে। যদিও এ নিয়ে টানা ৩০ দিন শনাক্তের হার রয়েছে ৫-এর ওপর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। গত সোমবার সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৯৭৪টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে এক হাজার ৭২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৯.৭৭। যা রোববারও ছিল ১১ দশমিক ১২ শতাংশ। তার আগের দিন শনিবার ছিল ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ৩০ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৫৬২ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ৪১২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২৪১ জন।
এসময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সাতজনের চারজন পুরুষ এবং তিনজন নারী। তাদের সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃতদের মধ্যে একজন করে টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, কুমিল্লা, যশোর, মাগুরা ও সিলেটের বাসিন্দা রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ সময়ের মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৯৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর। গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।
সোনালীনিউজ/এমটিআই