বঙ্গবন্ধু টানেলে গাড়ি চলবে জানুয়ারিতে

  • চট্টগ্রাম সংবাদদাতা | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২২, ০৪:০৯ পিএম

ঢাকা: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে আগামী বছরের জানুয়ারিতে গাড়ি চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস।

টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্তকাজ সমাপ্তি উদ্বোধনের আগের দিন প্রকল্প এলাকায় গিয়ে এ কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টানেলের ওই টিউবের পূর্তকাজ সমাপ্তির উদ্বোধন করবেন।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে এ টানেল। এর মধ্য দিয়ে ৫ মিনিটেই চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে যাওয়া যাবে আনোয়ারায়।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটা নতুন দিগন্ত সূচনা করেছি। আমরা খুব আনন্দিত ও উদ্ভাসিত।’

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শনিবার দক্ষিণ টিউবের পূর্তকাজ শেষ হওয়ার বিষয়টি উদ্বোধন করবেন। নির্মাণকাজ শেষ হলে টানেলের চূড়ান্ত উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, ‘এই টানেলের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ হয়ে গেছে। শুধু এখন ফিনিশিং ওয়ার্ক চলছে। আমরা এই বছরের মধ্যে চেয়েছিলাম একটা আনন্দ দিয়ে শুরু করা যাক।

‘আর যেহেতু একটা টিউবের পূর্ত কাজ শেষ হয়েছে, এখন আমরা সেটার উদযাপন করছি। ঈদের আগে যেমন চাঁদরাত উদযাপন করি, এখন সেই চাঁদরাত এখানে।’

জানুয়ারিতে কাজ পুরোপুরি শেষ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটার দুইটা টিউব আছে। একটার পূর্ত কাজ শেষ হয়েছে পুরোপুরি।’

প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘দুনিয়ার ভেতরে সব কি দাঁড়ি, কমা দিয়ে চলে? একটা বাস্তবতার ভিত্তিতে চলছে। যেটা ডিসেম্বরে শেষ করার কথা, সেটা জানুয়ারিতে শেষ হবে। এক-দুই মাসে তেমন কিছু হবে না।’

প্রকল্পটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জাতীয় বীরত্বের কাহিনী। একটা সবসময় নদী নিয়ে দুঃখের গান গাওয়া হতো। এখন সেই নদীর তলদেশ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছি।

‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে অবকাঠামো উন্নয়ন বোঝানো হয়। আর সেটার চূড়ান্ত হচ্ছে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেল।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছেন। সেখানে যেমন দেশীয় বিনিয়োগ থাকবে, তেমন থাকবে বিদেশি বিনিয়োগ। আর তার জন্য দরকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ আর বন্দর। এর সঙ্গে মাতারবাড়ীর একটা সম্পর্ক আছে। এ ছাড়া ঢাকার সঙ্গে কক্সবাজার যাওয়ার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমে যাচ্ছে।’ 

সোনালীনিউজ/এম