ঢাকা: অপেক্ষার পালা শেষ। ‘স্বপ্নের বাহন’ মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দিগন্তে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানী উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরের সি ব্লকের মাঠে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এ বৃহৎ অবকাঠামো উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী উত্তরা উত্তর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সবুজ রঙের পতাকা উড়িয়ে ও ফিতা কেটে ‘স্বপ্নের এ বাহন’ উদ্বোধন করেন। এরপর টিকিট কেটে প্রধানমন্ত্রীর জন্য সংরক্ষিত আসনে চড়বেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী। আর প্রথম চালক মরিয়ম আফিজা।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের ১০ সদস্যসহ রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ সস্ত্রীক পাড়ি দিবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
এ ছাড়া প্রথম ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রীরা হলেন—স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী, ৩ জন উপমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর ৬ জন উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৯ জন সদস্য, ঢাকা মহানগরের ১২টি আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকার দুই সিটি মেয়র। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর ১৪ সদস্যকে প্রথম যাত্রায় মেট্রোরেলে চড়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম নাহিদ, মান্নান খান, রমেশ চন্দ্র সেনসহ মেট্রোরেলের উদ্বোধনী যাত্রায় থাকছেন ২২০ জন।
প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য স্বপ্নের এই বাহনের দ্বার খুলল। আপাতত সীমিত যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল, যাতে যাত্রীরা ১০ মিনিটেই এই পৌনে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে।
উদ্বোধনের পর রুটের মধ্যবর্তী স্টেশনে কোনো স্টপেজ ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীরা মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল লাইন (উত্তরা-মতিঝিল) নির্মাণকাজ ২০১৬ সালের ২৬ জুন শুরু হয়। ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় এ মেগা প্রকল্পটির অনুমোদন দেন।
সোনালীনিউজ/এম