ডিসি সম্মেলনে ২৬টি অধিবেশনে যা যা থাকছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০২:০৩ পিএম

ঢাকা : মাঠ পর্যায়ে সরকারের নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে নীতি নির্ধারকদের অবহিতকরণের উদ্দেশ্য নিয়ে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলন। সম্প্রতি এর কর্মসূচি প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

কর্মসূচি অনুযায়ী এবার সম্মেলনে ২০টি কার্য অধিবেশনসহ মোট ২৬টি অধিবেশন থাকছে। এর মধ্যে প্রথম দিন ৬টি। দ্বিতীয় দিন ৯টি এবং তৃতীয় দিন ১১টি অধিবেশন থাকছে।

২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুক্ত আলোচনায় অংশ নিবেন ডিসিরা। মুক্ত আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফটোসেশনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে উদ্বোধনী অধিবেশন।

সম্মেলনের প্রথম কার্যঅধিবেশনও অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আওতাধীন সংস্থার সাথে বসবেন ডিসিরা।

সম্মেলনের প্রথম দিবসের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। দ্বিতীয় অধিবেশনে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ডিসিদের সাথে বসবেন। তৃতীয় অধিবেশনে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দিক নির্দেশনা দিবেন। চতুর্থ অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর সাথে নৈশভোজে অংশ নিবেন জেলা প্রশাসকরা।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ৭টি কার্য অধিবেশনে অংশ নেবেন ডিসিরা। প্রথম অধিবেশনে পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন, যুব ও ক্রীড়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর কর্মকর্তারা নির্দেশনা দিবেন।

দ্বিতীয় অধিবেশনে থাকবেন কৃষি, খাদ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তৃতীয় অধিবেশনে বস্ত্র ও পাট, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নিবেন। চতুর্থ অধিবেশনে শিল্প, বাণিজ্য ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নিবেন। পঞ্চম অধিবেশনে দুর্নীতি দমন কমিশন, ষষ্ঠ অধিবেশনে সড়ক ও সেতু বিভাগ, রেলপথ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নিবেন। সপ্তম অধিবেশনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নিবেন।

এই অধিবেশন শেষে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ভবনে প্রধান বিচারপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন জেলা প্রশাসকরা। এরপর জাতীয় সংসদ ভবনে স্পীকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় শেষে নৈশভোজে অংশ নিবেন।

সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম অধিবেশনে প্রতিরক্ষা ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে বসবেন ডিসিরা। দ্বিতীয় অধিবেশনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহণ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা নিবেন।

তৃতীয় অধিবেশনে তথ্য ও সম্প্রচার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নির্দেশনা দিবেন ডিসিদের।

চতুর্থ অধিবেশনে আইন ও বিচার, সংসদ ও ধর্ম মন্ত্রনালয় এর কর্মকর্তাদের সাথে বসবেন। পঞ্চম অধিবেশনে পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বসবেন। ষষ্ঠ অধিবেশনে স্বরাষ্ট্র, সপ্তম অধিবেশনে ভূমি এবং অষ্টম অধিবেশনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দিক নির্দেশনা দিবেন।

সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত ও নির্দেশনা গ্রহণ করবেন।এরপর নবম অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদের কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা গ্রহণ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য ও নৈশভোজ শেষে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই